রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ইতিমধ্যেই নিজেদের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। এমনকী জোটের জট কাটার আগেই প্রথম দু’ফার ৩৮ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে বাম শিবিরও। অথচ, বিজেপি এখনও নিজেদের তালিকা নিয়ে বেনজির গোপনীয়তা বজায় রাখছে। শুক্রবারই প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার সম্ভাবনা ছিল বিজেপির। তবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন গেরুয়া শিবির তালিকা প্রকাশ করেনি। বিজেপি সূত্রের খবর, রবিবার মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের পরই প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
আসলে প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়াও। অথচ, এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের উৎসাহ হারানোর একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া, রবিবার রাতে বা সোমবার যদি প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়, তাহলে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়েও শেষমুহূর্তে তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যেতে পারে। কারণ, নিজেদের হলফনামা তৈরির জন্য প্রার্থীরা সময় পাবেন মাত্র এক থেকে দেড়দিন। সেসব নিয়েও চিন্তায় গেরুয়া শিবিরের একাংশ। যদিও, বিজেপির দাবি যারা টিকিট পাচ্ছেন, তাঁদের আগে থেকে গোপনে গোপনে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ দুই শিবির ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের নাম নিয়ে প্রচার, দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রচারেও অনেকটা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা।
বিজেপি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের আগে মূলত দলের ক্ষোভবিক্ষোভ যাতে প্রবল না হয়ে ওঠে, সেটা নিশ্চিত করতেই প্রার্থীতালিকা ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, এক একটা কেন্দ্রে দলের টিকিট প্রত্যাশির সংখ্যা ২০-২৫ জন পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে তালিকা ঘোষণার পর মান-অভিমানের পালা শুরু হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে ব্রিগেডে। আর মনোনয়ন পত্র পেশের শেষদিনের এক-দেড়দিন আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলে বিক্ষুব্ধদের দল ছাড়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।