ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হয়েছে প্যাংগং সো লেক থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া। উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছিল লবণাক্ত জলের লেকের উত্তর তীরে ফিঙ্গার ৮-এর শৃঙ্গের দিকে লাগাতার চীনের ভারী গাড়ির সরে যাওয়ার বিষয়টি। কিন্তু তবুও যেন সংশয় যাচ্ছে না। সৌজন্যে উপগ্রহ মারফত পাওয়া কিছু নতুন ছবি। ‘সিন্থেটিক অ্যাপার্চার রাডার’ বা এসএআর-এর সাহায্যে ধরা পড়েছে, প্রকৃত সীমান্তরেখার একেবারে গা ঘেঁষে দেপসাং এলাকায় চীনের নির্মাণ রয়েছে! লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডিতে অবস্থিত ভারতের সর্বোচ্চ বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মাত্র ২৪ কিমি দূরত্বে লালফৌজের ঘাঁটি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ওই ঘাঁটি অবশ্য নতুন নয়। আকসাই চীনের ওই ঘাঁটি ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পরে স্থাপিত হয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে ওই ঘাঁটির সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে বেজিং।
রাতের অন্ধকারে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে তোলা নতুন ছবিগুলিতে ধরা পড়েছে ওই ঘাঁটির মুখ্য ইমারত সংলগ্ন এলাকায় আরও নতুন নতুন নির্মাণ হয়েছে। নজরে এসেছে ক্যাম্প, গাড়ি ও ফেন্সিংও। গত বছরের আগস্ট থেকে এটা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তোলা একটি ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় লালফৌজের উপস্থিতি রয়েছে। সীমান্তরেখা সংলগ্ন এলাকায় রাখা রয়েছে ট্যাঙ্কও। দেখা যাচ্ছে প্রধান ঘাঁটির একদম পাশেই একটি নতুন নির্মাণ রয়েছে। রয়েছে সৌর প্যানেল, অ্যান্টেনা টাওয়ার্স, ডিফেন্স সিস্টেমও। আর দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে গজিয়ে উঠেছে নতুন নতুন শেল্টার এবং ক্যাম্পও।