গত সেপ্টেম্বর মাসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল প্রখ্যাত সিমেন্ট সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। তার আগে থেকেই দুবাইয়ে ছিলেন কোম্পানির কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর। অবশেষে মার্চের শেষ সপ্তাহে দীর্ঘদিন পর কলকাতায় ফিরছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় সেখান থেকেই বাঙ্গুর জানান, “মার্চের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় ফিরছি। প্রিয় শহরে আসার পরেই আমার প্রথম কাজ হবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। আমার মনে হয়, মুখোমুখি কথা বললে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান হতেই পারে। খেলাধুলার উন্নয়নের জন্যই আমরা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলে অভিযান শেষ হয়ে যাওয়ার পর স্বদেশি ফুটবলারদের দু’সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। তবে মহম্মদ রফিক,অঙ্কিত মুখার্জিদের আগামী মরশুমের চুক্তির জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে, জট কাটিয়ে নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার জানান, “আমরা শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তিপত্রে বেশ কিছু সংশোধন করে গত ২ ডিসেম্বর ইনভেস্টরের কলকাতা অফিসে পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপর ওই চুক্তির ব্যাপারে লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। তাই নতুন মরশুমের দলগঠন নিয়ে আমাদের এই মুহূর্তে কিছু বলার নেই।”
এদিকে, আইএসএলে অভিষেক মরশুমে ক্লাবের পারফরম্যান্স নিয়ে দেবব্রত বাবু বলেন, “বিখ্যাত প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচরা এবছর দলের পারফরম্যান্সে খুবই উদ্বিগ্ন। এর চেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স আর কিছু হতে পারে না। শ্রী সিমেন্ট যদি ক্লাবের সম্মানের কথা না ভাবে তবে আমাদের অন্য কিছু চিন্তা করতে হবে। অচলাবস্থা না কাটলে আমরা জরুরি সাধারণ সভা ডেকে সদস্যদের অভিমত জানতে চাইব। টার্মশিটে সইয়ের সময়ে কথা হয়েছিল, ২০২১-২২ মরশুমে দলগঠনের জন্য ক্লাবের বিশিষ্ট প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি গড়ার। কিন্তু গত চার মাসে সেই উদ্যোগ ইনভেস্টরের পক্ষ থেকে দেখানো হয়নি। আমরাও মুখোমুখি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি।”