সোমবার করোনা টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তা ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা অভিযোগ তুলছেন, মোদীর এই টিকাকরণের মধ্যেও রয়েছে ভোট-অঙ্ক!
কীভাবে? আসলে দিল্লির এইমস হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীকে টিকা দিয়েছেন পুদুচেরির পি নিবেদিতা নামের এক নার্স। তাঁকে সাহায্য করেছেন কেরালার আরেক নার্স। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী গলায় ছিল আসামের গামছা। অর্থাৎ পুদুচেরি ও কেরালার নার্স, আসামের গামছা। বিরোধীদের দাবি, শিগগিরি নির্বাচন রয়েছে কেরালা ও আসামে। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও রয়েছে ভোট। সেদিকে লক্ষ রেখেই এই তিন রাজ্যকে এভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী টিকাকরণের সঙ্গে। শুধু বাদ গিয়েছে বাংলা।
করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ‘কোভিশিল্ড’ নয়, একেবারে ‘স্বদেশি’ প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিনেই ভরসা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেকথা উল্লেখ করে কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, ৬৪ বছরের ঊর্ধ্বে এই ভ্যাকসিন কার্যকর কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল থেকেই ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছর বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর শুরুতেই দেশবাসীকে চমক দিয়ে সকাল সকাল টিকা নিতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি নিজে টুইটারে সেই ছবি পোস্টও করেন। এবার তাঁর টিকাকরণ নিয়েও তৈরি হল রাজনৈতিক বিতর্কের আবহ।