২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সভা-মিছিলগুলিতে দেখা গিয়েছিল জনতার ঢল। যার ফলে রাজ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয় তারা। কিন্তু সেই ছবিটা আর দেখা যাচ্ছে না এখন। বরং স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই ফিকে হচ্ছে গেরুয়া ক্রেজ। আমজনতার সমর্থন হারাচ্ছে বিজেপি। একদিকে যেমন নাড্ডার সভা সুপারডুপার ফ্লপ হচ্ছে বাংলার বুকে, অমিত শাহের সভা চলাকালীন সময়ে লোক মাঠ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আবার পরিবর্তন যাত্রায় লোকও জোটাতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি, ভোটের মুখে মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার দলের দুই নেতা-নেত্রী পামেলা গোস্বামী ও রাকেশ সিং। আর তাই ভোট যত এগোবে ততই ঘন ঘন বাংলায় আসার কথা দিলেও এবার তা বানচাল করে দিলেন খোদ শাহ।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে বেশি বেশি করে বাংলায় এসে দলের নেতা থেকে কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাবেন, বেশি বেশি করে দলের কর্মসূচীতে অংশ নেবেন বলে কথা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এই কদিনে তাঁরা কথা রেখেছেন। ফি মাসে ত্রিমূর্তি হানা দিয়েছেন দিদির বাংলায়। এসেছেন, খেয়েছেন-দেয়েছেন, মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন, বাউল গান শুনেছেন, রোড শো করেছেন, সভা করেছেন আর তেড়েমেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করেছেন। আর দিয়েছেন হুঙ্কার, ‘আব কে বার ২০০ পার’। তবে বিজেপির সভায় ফাঁকা চেয়ারের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এখন চাপ পড়েছে ব্রেকে। বাতিল হয়েছে চলতি সপ্তাহের শাহী সফর। স্বাভাবিক ভাবেই ঘাসফুল শিবির এখন কটাক্ষ করছে যে, ভোটের দিনক্ষণ যখন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, বিরোধীরা ব্রিগেড ভরিয়ে দিচ্ছে, শাসক প্রার্থী ঘোষণা করে দিচ্ছে তখন কিনা শাহ বাংলায় আসাই বন্ধ করে দিচ্ছেন!