স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কার নানা কর্মসূচী থেকে হালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না— একাধিক প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে এই কলকাতার মাটি থেকেই। এবার মহানগরের বুকেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ এবং সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতিবাদ উঠতে চলেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে এসবিআই অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫৫ তম বার্ষিক সাধারণ সভা বসতে চলেছে। সেই সভাতেই হতে চলেছে এই প্রতিবাদ। এসবিআই-এর অফিসার্স সংগঠন বলছে, এর আগে মোদী সরকার এফআরডিআই বিল এনেছিল। যা ছিল জনবিরোধী। সকল বিরোধীদের চাপে তা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। কিন্তু ২০১৯-এর নির্বাচনে মোদী সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরে এসে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সংযুক্তিকরণের পর এবার সেগুলিকে কর্পোরেট হাতে তুলে দিয়ে চাইছে।
ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের প্রশ্ন করোনার সময় মোদী সরকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তা কার্যকর করেছিল এইসব রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিই। এছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের যেসব পেনশন অ্যাকাউন্ট আছে, তা সবই জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট। যেখানে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলেই ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে লাগে। তাঁদের প্রশ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করলে সাধারণ মানুষ কি জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট কিংবা কম ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাবেন? উল্লেখ্য, একটা সময়ে বেসরকারি ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রীয়করণ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের পরে বেসরকারিকরণে দেশের কোন শ্রেণির মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এসবিআই-এর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।