আট দফায় হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন৷ আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে ভোট গ্রহণ৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল কুমার অরোরা শুক্রবার দিল্লিতে এই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন৷ ফল ঘোষণা করা হবে ২ মে৷
প্রথম দফার ২৭ মার্চ ভোট গ্রহণ হবে ৩০ আসনে। পাঁচটি জেলাতে ভোট গ্রহণ হবে এই দফায়। সেগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পার্ট ওয়ান, পূর্ব মেদিনীপুর পার্ট ওয়ান।
দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ ১ এপ্রিল। বাঁকুড়া পার্ট টু, পূর্ব মেদিনীপুর পার্ট টু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পার্ট ওয়ান।
তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ ৬ এপ্রিল। এই দফায় ৩১ আসনে ভোট গ্রহণ হবে। হাওড়া ও হুগলী পার্ট ১ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় পার্ট ২ তথা অবশিষ্ট এলাকায়।
চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ ১০ এপ্রিল। হাওড়া পার্ট টু, হুগলি পার্ট টু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পার্ট থ্রি।
পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ ১৭ এপ্রিল। উত্তর ২৪ পরগনা পার্ট ওয়ান, নদিয়া পার্ট ওয়ান, পূর্ব বর্ধমান পার্ট ওয়ান, জলপাইগুড়ি।
ষষ্ঠ দফায় ৪৩টি আসন। ভোটগ্রহণ ২২ এপ্রিল। উত্তর ২৪ পরগনা পার্ট টু, পূর্ব বর্ধমান পার্ট টু ও নদিয়া পার্ট টু।
সপ্তম দফায় নির্বাচন ৩৬টি আসনে। ভোটগ্রহণ ২৬ এপ্রিল। মালদহ পার্ট ওয়ান, মুর্শিদাবাদ পার্ট ওয়ান, পশ্চিম বর্ধমানের ৫টি, কলকাতা দক্ষিণ।
অষ্টম দফায় নির্বাচন ২৯ এপ্রিল। ৩৫টি কেন্দ্র। মালদহ পার্ট টু, মুর্শিদাবাদ পার্ট টু, বীরভূম, কলকাতা উত্তর।
ভোটের ফল ঘোষণা ২ মে।
কোভিডের কারণে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ৩১ শতাংশ ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ বছর ১ লক্ষ ১ হাজার ৯১৬টি ভোটকেন্দ্র থাকছে। প্রতি বুথে সর্বোচ্চ ভোটার ১,০০০। প্রবীণদের কথা মাথায় রেখে সব বুথ বাধ্যতামূলকভাবে একতলায় করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৮০ ও তার বেশি বয়স্ক, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়।
বিহারের মতো বাংলাতেও ভোটদানের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না। সতর্কতা মেনে পথসভা করা যাবে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে অনলাইনেও। সশরীরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর সঙ্গে ২ জন যেতে পারবেন।’