শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়’। তবে নাম বদলের রাজনীতিই এখন অন্যতম মুখ্য কর্মসূচী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি জমানায় দেশের একের পর এক স্টেশন, রাস্তা, অঞ্চলের নাম বদল হতে দেখা গিয়েছে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন মোতেরা স্টেডিয়াম।
বুধবার পর্যন্ত ঠিক ছিল, আমেদাবাদের ওই স্টেডিয়ামের নাম হবে গুজরাতের নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নামে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকাই পরিকল্পনায় বদল। স্থির হয়, ওই ক্রিকেট মাঠের নামকরণ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে এই মাঠের নামকরণ। কারণ এটা তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প।’ তবে এই ঘোষণার সঙ্গেই দেশের ইতিহাসে নাম উঠে গেল মোদীর। কারণ এর আগে জীবিত অবস্থায় কোনও রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীর নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ হয়নি ভারতে। আর বিদেশে যাঁদের নামে নামকরণ হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে হিটলার, মুসোলিনির মতো স্বৈরাচারী শাসকদের নাম।
১৯৩৩ সালে নাৎসি জমানায় জার্মানিতে তৈরি হয়েছিল স্টাটগার্ট স্টেডিয়াম। অ্যাডল্ফ হিটলারের নামেই এর নামকরণ হয়। এখন যদিও স্টেডিয়ামের নাম মার্সিডিজ-বেনজ অ্যারেনা। আবার ক্ষমতায় থাকাকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে জোসেফ স্ট্যালিনের নামে একটি গোটা শহরের নামই রাখা হয় স্টালিনগ্রাড। শুধু তাই নয়। ১৯৫১ সালে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বন্দী জার্মান সেনাদের দিয়ে তৈরি করানো হয় আস্ত একটি স্টেডিয়াম। তারও নাম রাখা হয় স্টালিনের নামে। ইরাকেও আটের দশকে শাসক সাদ্দাম হুসেনের নামে একটি জিমনাশিয়ামের নাম রাখা হয়েছিল। ইতালিতে স্বৈরাচারী মুসোলিনির জমানাতেও একই কাণ্ড হয়েছে। অন্যদিকে, ১৯৮২ সালে পিয়ংগিয়াংয়ের স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ শেষ হলে তাঁর নাম রাখা হয় কিম ইল সাংয়ের নামে।