অবশেষে উত্তরপ্রদেশে পাশ হল লাভ জেহাদ বিল। ধ্বনিভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায়। ইতিপূর্বে নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখ একটি অর্ডিন্যান্স পাশ করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবার সেই অর্ডিন্যান্সের আইনে পরিণত হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। যদিও এই আইন নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক বিতর্ক রয়েছে।
এই নতুন আইন অনুযায়ী সে রাজ্যে বিয়ের জন্য কোনও মহিলার ধর্মান্তকরণ করা হলে তা বাতিল বলেই ঘোষিত হবে। পাশাপাশি, বিয়ের পরে ধর্ম বদলাতে চাইলে জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানাতে হবে। কোনওরকম প্রতারণা, প্রলোভন দেখিয়ে অথবা জোর করে ধর্মান্তকরণ করালে অভিযুক্তের ৩ থেকে সর্বাধিক ১০ বছরের সাজা হতে পারে। দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও।
উল্লেখ্য, ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিটিজেন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস। এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী তিস্তা সেলভেস্তা এবং বিশাল ঠাকরে। কিন্তু তাঁদের সেই আর্জি খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। তবে দুই রাজ্য-সহ কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছিল। এর মধ্যেই এই বিল পাশ করানো হল উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায়। আগামী বছরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন।
এই বিল নিয়ে সমাজের একাংশের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ পাশ হওয়া এই আইন সমাজ ও সংবিধানের চরিত্র বদলে দিতে পারে। এমনকী, সমাজের এক শ্রেণির মানুষ এই আইনকে হাতিয়ার করে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিতে পারে প্রতিপক্ষকে। তাঁদের কথায় কান দিতে নারাজ যোগী সরকার। যদিও সৃষ্টি হয়েছে একাধিক বিতর্ক। আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখছে শীর্ষ আদালত।