ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে রাজ্যে। হাতে আর বেশি দিন সময় নেই। তাই গতকাল, সোমবার থেকেই ভোটকর্মীদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। আগামী দশদিনের মধ্যে রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ভোটকর্মীর টিকাকরণ সম্পূর্ণ করবে স্বাস্থ্য দফতর। এমনই টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যেসব স্বাস্থ্যকর্মী করোনার প্রথম ডোজ নেননি তাঁদের আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা নিতেই হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সোমবারই রাজ্যের ৮০২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন ৪১,৮০০ জন। এঁদের মধ্যে ১৬ হাজার ১৪২ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটও পেয়েছেন।
রাজ্যের টিকাকরণের নোডাল অফিসার ডা অসীম দাস মালাকার জানিয়েছেন, ‘ভোটের কাজে যাঁরা যুক্ত হবেন তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য, পুলিশ ও ফ্রন্টলাইন কর্মী রয়েছেন। দেখা যাচ্ছে এঁদের মধ্যে অনেকের আগেই টিকা নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে তাই তাঁদের বাদ দেওয়া হবে। তাই সংখ্যাটা কমবে।’ তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম ডোজ পাওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা বন্ধ। কিন্তু অ্যাপে নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা যে কোনও টিকাকেন্দ্র থেকেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে পারবেন।
যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোট কর্মীদের টিকাকরণ শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। জেলায় ভোটকর্মী প্রায় ৫৩ হাজার ৮৯০ জন। ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৪টি জায়গা থেকে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলবে। এটা যেমন একটা দিক, তেমনই প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যদি ওই ব্যক্তিকে অ্যান্টি রেবিজ ভ্যাকসিন নিতে হয় তবে তাতে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছেন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি মৃগী রোগীরাও করোনার টিকা স্বচ্ছন্দে নিতে পারবেন বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।