চিন্তার ভাঁজ পড়ল গেরুয়াশিবিরের কপালে। জোটে দেখা দিল ভাঙন। আসন্ন উপজাতি স্বশাসিত এলাকার নির্বাচনের আগেই বিজেপির সখ্য ত্যাগ করল শরিক দল আইপিএফটি। যথারীতি চিন্তিত ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাঞ্জাবে পৌরভোটে শূন্য, মিজোরামের রাজধানী আইজলের পৌরভোটেও শূন্য ফল করায় দুশ্চিন্তার কবলে বিজেপি নেতৃত্ব। এর মাঝেই ত্রিপুরায় এনডিএ সরকারের জোটে থেকেও আইপিএফটি উপজাতি স্বশাসিত এলাকা নির্বাচনে পৃথক জোট করেছে। এতে আরও চিন্তা বাড়ছে পদ্মপরিবারে।
প্রসঙ্গত, আইপিএফটি সরাসরি রাজা প্রদ্যোৎ কিশোরের টিপ্রাহা গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট ঘোষণা করেছে। নতুন জোটের ঘোষণা করেন প্রদ্যোৎকিশোর, খোদ রাজ্য সরকারের রাজস্বমন্ত্রী এনসি দেববর্মা। ছিলেন জোটের অন্যতম নেতা ও জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার জামাতিয়া। রাজ্যে বিজেপি জোট সরকারে থেকেও আইপিএফটি জানিয়েছে, বৃহত্তর স্বার্থের জন্য জোটসঙ্গী বিজেপির সাথে কিছুটা দূরত্ব তৈরি করে নতুন জোট করা হল। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধেও সরব আইপিএফটি নেতৃত্ব। অভিযোগ, উপজাতিদের যে কল্যাণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, সেটি পূরণের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই ভিন্ন জোটে যাওয়া হল। তবে এখনই সরকারের সঙ্গে জোট ভেঙে দেওয়ার কোনও বার্তা দেয়নি শরিক দলটি।
উল্লেখ্য, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে প্রবল আলোচিত হচ্ছে অপর বাংলাভাষী রাজ্য ত্রিপুরা। এই রাজ্যে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার উন্নয়নের ডবল ইঞ্জিন ছুটিয়েছে বলে দাবি বিজেপি সর্বভারতীয় নেতারা। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী নেতা মানিক সরকার বাংলার নির্বাচনী জনসভায় বলেন, বাংলার জনগণ যেন ত্রিপুরাবাসীর মতো বিষ গলায় না নেন। বাংলা থেকে যে কেউ ত্রিপুরায় এসে রাস্তায় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বলবে, শুধু ভোটের অপেক্ষা। পাশাপাশি, ত্রিপুরায় এনডিএ জোটের ভাঙন এডিসি নির্বাচনের আগে আরও চওড়া হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। স্বাভাবিকভাবেই চাপে গেরুয়াশিবির।