তেলের দাম নিয়ে নাভিশ্বাস গোটা দেশের। প্রতিদিনই প্রায় বাড়ছে রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রোল-ডিজেল-কেরোসিনের দাম। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের এতে কোনও প্রভাব পড়ার কথা নয় মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিহারের মন্ত্রী, বিজেপি নেতা নারায়ণ প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বাস ব্যবহার করেন। খুব কম লোকেরই নিজের গাড়ি রয়েছে’। তাঁর দাবি, তেলের দাম বাড়লে রাজনীতিকদের প্রভাব পড়লেও পড়তে পারে, সাধারণ মানুষের কোনও কিছুই যায়-আসে না।’
১১ দিন ধরে টানা দেশজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দেশের একাধিক রাজ্যে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। রান্নার গ্যাসের দামে সাধারণ মানুষের হেঁশেলে আগুন ঝরছে। এই পরিস্থিতিতে বিহারের বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দিল্লীতে পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০.১৯ টাকা প্রতি লিটার। ৩৩ পয়সা দাম বেড়ে ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৮০.৬০ টাকা। মন্ত্রীর দাবি, সাধারণ মানুষ এভাবে জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে অভ্যস্ত। তাঁর কথায়, ‘আমিও এটা নিয়ে চিন্তিত, তবে সাধারণ মানুষ এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন’। নারায়ণ প্রসাদের দাবি, করোনাভাইরাসের কারণেই তেলের চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।
ক্রমাগত জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে মিছিল করছেন বিরোধীরা। এ রাজ্যেও আজ শনিবার থেকে লাগাতার পথে নেমে বিজেপিকে বিঁধতে চলেছে তৃণমূল। শুক্রবারই নিজেদের পথে নেমে প্রতিবাদের কর্মসূচি জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আক্রমণ, ‘যে ভাবে রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, কেরোসিন, পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে হেঁশেলে তো আগুন ঝরাচ্ছে বিজেপি।’ ক্রমাগত বাড়তে থাকা এই দামের বিরুদ্ধেই এবার পথে নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। পার্থর কথায়, ‘জনজীবন কেড়ে নিয়েছে বিজেপি সরকার’।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাস-কেরোসিনের ঊর্ধ্বমুখী দামের বিরুদ্ধে আমরা পথে নেমেছি। এর বিরাট প্রভাব পড়ছে কৃষি-শিল্পে। তার বিরুদ্ধে তৃণমূল থেকে প্রতিবাদ মিছিল বেরোবে ২০ ও ২১ ফেব্রুযারি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই মিছিল হবে। আগামীকাল শনিবার দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল হবে জগুবাবুর বাজার থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত দুপুর তিনটের সময়।’