প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াই হোক বা অশালীন-কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের ফোয়ারা ছোটানো— সবেতেই গেরুয়া শিবিরের জুড়ি মেলা ভার। বিরোধী দলের নেতানেত্রী থেকে বিরোধী মত পোষণকারী— কাউকে বিঁধতে গিয়ে বরাবরই কুকথার আশ্রয় নেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয় না। এবার মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। নামখানায় পরিবর্তন যাত্রার সূচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলার মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তাঁর মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্যের মহিলা-পুরুষ সব মহলে। তৃণমূলের দাবি, বাংলার মহিলাদের অপমান করেছেন রাহুল সিনহা।
বাংলার বেকারত্ব নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক বলেন, ‘বাংলায় মা-বোনের সম্মান বলে কিছু নেই। রাজ্যের বাইরে দিল্লী, মুম্বই, চেন্নাই যান। দেখবেন সব বাংলার বেকাররা ভিড় করেছে। বাংলার বাইরে পতিতালয়ে যান, দেখবেন বাংলার মেয়েরা পতিতালয়ে স্থান নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বাংলার মেয়েদের ফুঁসলে বাইরে নিয়ে গিয়ে পতিতার কাজ করানো হচ্ছে। তাই এই সরকারের পতন চাই।’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাহুলের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন।
কুণাল বলেন, ‘এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নরুচির এবং কুরুচিকর। জীবনে অনেক যন্ত্রণায় পড়ে তাঁদের সেখানে যেতে হয়। কেউ কেউ বাধ্য হন। তাঁর অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। তৃণমূলের আমলে মহিলাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে উপার্জন করছেন। এই অপমান জনক মন্তব্যের জন্য মহিলাদের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয়, এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও অশালীন মন্তব্য় করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাহুল।