মোটামুটি শেষ শীতের দাপট। জাগ্রত দ্বারে বসন্ত। কলকাতা-সহ রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ভোর বা রাতের দিকে ঠান্ডার হাল্কা আমেজ থাকলেও শীত নেই তেমন। ভোরের দিকে কোথাও কোথাও কুয়াশার দাপট দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় এদিনও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। তবে কলকাতায় বৃষ্টির আপাতত সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা বেড়ে হয় ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার অবশ্য তাপমাত্রা কিছুটা কমল। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিবেকর থেকে ২ ডিগ্রি কম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।সকালে মেঘমুক্ত থাকলেও বেলা ১২ টার পর থেকেই কলকাতার আকাশে ধীরে ধীরে মেঘেরা জোট বাঁধতে শুরু করবে। রাত অবধি থাকবে মেঘের ঘনঘটা। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
পূর্বাভাসে অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী তিনদিন রাতের তাপমাত্রা সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।এছাড়াও আগামী তিনদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়েও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে। সামান্য বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে তুষারপাত চলছে কাশ্মীর, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে। অন্যদিকে এদিন সকালে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা হ্রাস পেয়েছে দিল্লি-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। ১৮ই ফেব্রুয়ারি মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হতে পারে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস।