এক সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। সেইসঙ্গে কলকাতার মহানাগরিকও। তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’র কারণে দল, পদ, মন্ত্রিত্ব, মেয়রপদ সবই ছাড়তে হয় তাঁকে। এমনকী ঘর-পরিবারও। কিন্তু ‘পেয়ার ঝুকতা নেহি’ মনোভাব নিয়ে তিনি এগিয়ে চললেও সেই তাঁকেই কিনা এবার মাথা ঝোঁকাতে হল এক ‘বহিরাগতে’র কাছে। বয়সে ছোট ব্যক্তির পায়ে হাত দিয়েই প্রণাম সারলেন তিনি। আর সেই দৃশ্য মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে। কেউ হাসছেন, কেউ রসিকতা করছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, ‘আর কত নামাবে নিজেকে। চাটুকারিতারও তো একটা সীমা থাকে।’
প্রসঙ্গত, ফের বাংলায় এসেছেন অমিত শাহ। লক্ষ্য তাঁর, ‘আবকে বার দোশো পার’। যদিও পরের পর সভা চোখে আঙুল দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিচ্ছে বিকট ভাবে মাঠ ফাঁকা। তবুও তিনি আসছেন, বাংলা চষছেন, এর ওর বাড়ি খেয়ে বেড়াচ্ছেন, আর তেড়ে গালমন্দ করে বেড়াচ্ছেন বাংলার শাসক দল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন তাঁর গন্তব্যস্থল ছিল নামখানা-গঙ্গাসাগর-কাকদ্বীপ। গঙ্গাসাগরে গিয়ে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর নামখানার ইন্দিরা ময়দানে দলের জনসভায় যোগ দেন তিনি। কিন্তু সেই সভায় শুরু থেকেই একের পর এক বিপত্তি।
ব্যারিকেডের ওপরে উঠে শাহকে মহিলাদের কালো পতাকা দেখানো থেকে শুরু করে শিক্ষকদের পোস্টার সহ বিক্ষোভ। সবই হয়েছে এদিনের শাহের সভায়। তবুও সব কিছুকে হারিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সবার সামনেই সভামঞ্চে শাহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। যদিও শাহ শোভনের থেকে আড়াই মাসের ছোট। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৬৪ সালের ৭ জুলাই। অন্যদিকে শাহের জন্ম ওই বছরেরই ২২ অক্টোবর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে শোভনের এই প্রণাম কেন? সকলের মুখেই এক কথা, আসলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের গুডবুকে থাকার জন্যই এমন কাণ্ড করেছেন শোভন। এই ‘চাটুকারিতা’র জন্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড-ও হতে হচ্ছে তাঁকে।