কখনও মা-মাটি-মানুষের জয়গান, কখনও বদলা নয় বদল চাই, গত এক দশক তৃণমূল স্লোগানই নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলার মানুষের মনোভূমি। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে, আমূল বদলে গিয়েছে রাজ্য- রাজনীতি। বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার মুখে বহু নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আরও একবার নতুন স্লোগানের জন্ম দিতে চলেছে তৃণমূল। স্লোগানের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানটিও হতে চলেছে তাক লাগানো, একবারে কর্পোরেট ধাঁচে।
নির্বাচনের আগে তৃণমূলের স্লোগান সারা ফেলে দেয় প্রত্যেকবারই। তৃণমূল সুপ্রিমোর স্লোগান তৈরির স্বকীয় ভঙ্গিমাটিও সকলের চেনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলেন, একটি অমোঘ স্লোগান অনেকগুলি জনসভার থেকেও বেশি প্রভাবশালী। প্রমাণ হিসেবে উঠে আসবে আব কি বার মোদি সরকারের মতো স্লোগান। অতীতের এই সমস্ত স্লোগানের সাফল্যকে আতসকাচের তলায় রেখেই স্লোগান তৈরি করছে তৃণমূল। যার শব্দে শব্দে থাকবে চমক, এমনটাই জানা যাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলে ।
কেমন হবে এই স্লোগান? তৃণমূলের উদ্দেশ্যে এবার উন্নয়ন তাসকেই সামনে রাখা, কাজেই স্লোগানে তার ছাপ অবশ্যই থাকবে। পাশাপাশি মানুষের জন্য মানুষের পাশে রয়েছে এই সরকার, এমন ছবি মানুষের সামনে তুলে ধরার একটা প্রয়াস থাকবে। এবার নির্বাচনে বাঙালি জাত্যাভিমানও একটা ফ্যাক্টর। কাজেই বাঙালি বনাম বহিরাগত তরজার কিছু প্রতিফলন পাওয়া যাবার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে স্লোগান তৈরি করেই থেমে থাকা নয়, তৃণমূল চাইছে ব্রক্ষ্মাস্ত্রের অমোঘ প্রয়োগ। সেই কারণেই এই প্রথম এরকম ‘গালা লঞ্চ’ হবে এই স্লোগানের। তৃণমূলের অন্দরের লোকই বলছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি যেমন ভাবে স্লোগানের আত্মপ্রকাশ দেখা যাবে, এমন চোখ ধাঁধানো আয়োজন অতীতে দেখা যায়নি।