প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আন্দোলনজীবী’ কটাক্ষের জবাব দিল কংগ্রেস। একদিকে নাম না করেও কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘ক্রোনি-জীবী’ হিসাবে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে দেশ বিক্রি করার অভিযোগ আনলেন রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে নিজেদের ‘গর্বিত আন্দোলনজীবী’ বললেন দলের প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম।
সোমবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর জবাবি বক্তৃতায় নতুন সম্প্রদায়, ‘আন্দোলনজীবী’র উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর লক্ষ্য সেই বিরোধীরা, বিশেষ করে কংগ্রেস, যারা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবারই এই প্রসঙ্গে সরব হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন এনডিএ জোটের সদ্য প্রাক্তন শরিক শিরোমণি অকালি দল সাংসদ হরসিমরত কৌর। এদিন টুইটে হিন্দিতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল লেখেন, ‘ক্রোনি-জীবী তারা, দেশ বেচছে যারা।’
উল্লেখ্য, ‘ক্রোনি পুঁজিবাদ’ শব্দটি রাজনীতিতে খুব কমই ব্যবহার হয়ে থাকে। সাধারণভাবে ‘দল বেঁধে লুঠপাট’ বোঝাতে শব্দটি ব্যবহার হয়। ‘দ্য ইকোনমিস্ট ১’-এর সংজ্ঞায় ক্রোনি ক্যাপিটালিজম হল সেই বন্দোবস্ত, যার মাধ্যমে পুঁজিপতিরা রাজনীতিকদের কাছ থেকে মূল্যবান সম্পদ লাভ করে থাকে। ক্রোনি ক্যাপিটালিজম মতবাদের সূচনা ১৯৯৮ সাল থেকে। ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তো তাঁর শাসনকালে নিয়ম ভেঙে তাঁর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও দলীয় লোকদের বড় বড় ব্যবসা ও প্রকল্পের কাজ ভাগ করে দেন। এতে দেশটিতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি ধনিক গোষ্ঠীর জন্ম হয়। সাম্প্রতিক অতীতে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বন্ধু শিল্পপতিদের’ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল। এদিন সেই সুরেই নাম না করে সরকারকে কটাক্ষ করলেন রাহুল।