জ্বালানির আকাশছোঁয়া দামের কারণে বরবারই সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এই নিয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রকে ফের কোণঠাসা করল বিরোধীরা। কংগ্রস সাংসদ কেসি বেনুগোপাল বলেন, যে সরকার পেট্রল ও ডিজেলে এক্সাইস ডিউটি বাড়িয়ে দিয়েছে, এর জেরেই দাম এভাবে বাড়ছে। উত্তরে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল পিছু অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ৬১ ডলার। তাঁর মতে, রাজ্য ও কেন্দ্র, উভয়ের ওপরে দায় বর্তায় তেলের দামের বিষয়ে। এটি নিয়ে উভয় প্রশানকেই সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হবে, এমনই দাবি তুলেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। বিগত কিছু বছরে ভারত সরকার এক্সাইস ডিউটি কমিয়েছে বলে তিনি জানান। সরকারের প্রবল কটাক্ষ করেছেন সমাজবাদী পার্টির বিশ্বম্ভর প্রসাদ নিষাদ। জিজ্ঞেস করেন, “যে সীতার দেশ নেপালের থেকে রামের দেশ ভারতে জ্বালানির দাম বেশি কেন ?”
উল্লেখ্য, পেট্রোল ও ডিজেলের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে খোদ শাসকশিবিরের অন্দরেই। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সরকারের বাজেট পেশের পরের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের তাঁর একটি পোস্ট ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছিল। টুইটে রাজ্যসভার এই সাংসদ একটি গ্রাফিক্স কার্ড পোস্ট করেছিলেন। ওই গ্রাফিক্স কার্ডে লেখা আছে,’পেট্রোলের দাম রামের ভারতে ৯৩ টাকা, সীতার নেপালে ৫৩ টাকা এবং রাবণের লঙ্কায় ৫১ টাকা।’ উল্লেখ্য, বিজেপি সব সময় ‘রাম-রাজ্য’ গঠনের কথা বলে। এই টুইটটির মাধ্যমে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী পরোক্ষে তাঁর নিজের দল বিজেপির নীতির যে সমালোচনা করেছেন তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমনই বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যা নিয়ে তুমুল অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল বিজেপি।