অমিত শাহের পাঠানো চার্টার্ড বিমানে সোজা দিল্লী উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে তৃণমূলের পালটা সভা থেকে সেই দলত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যয়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেই আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, শরীরে ভদ্রলোকের রক্ত থাকলে ডোমজুড় থেকে ভোটে দাঁড়াও।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে রবিবার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামেই জনসভায় হাজির হয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেদিনই ডুমুরজলায় পালটা জনসভা ঘোষণা করে তৃণমূল। সেই জনসভাই অনুষ্ঠিত হল গতকাল। আর সেখানে দাঁড়িয়ে রাজীবকে নিশানা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গায়ে যদি ভদ্রলোকের রক্ত থাকে তাহলে পালিয়ে যেও না। ডোমজুড় থেকে ভোটে দাঁড়িও। এমন হারান হারাবো যে ২ বছর ঘুমাতে পারবে না।’
আরেক দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকেও ছাড়েননি কল্যাণ। তাঁকে ‘কাঁথির মেজোবাবু’ বলে সম্বোধন করে কল্যাণের প্রশ্ন, ‘নারদা থেকে যে ৬ লক্ষ টাকা নিলেন, সেই টাকা কোথায় গেল? হলদিয়া বন্দর তো লুটে সাফ করে দিলেন।’ একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘আরএসএস না হলে বিজেপিতে কদর নেই। তাই মাথায় পাগড়ি বেঁধে শুভেন্দু এখন আরএসএস হওয়ার চেষ্টা করছেন’। গতকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়ও। তিনি বলেন, ‘আমরা শোকেস দেখিয়েছি, গোডাউন দেখাইনি। যেদিন মমতাদি আসবেন, সেদিন গোডাউন খুলে দেব। হাওড়া থেকে বিজেপি সাফ হয়ে যাবে’।