কৃষক ইস্যুতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে ও আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার অনুমতির জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানাল আমেরিকার কংগ্রেসনাল ইন্ডিয়ান ককাস। বিক্ষোভকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তাঁরা।
কংগ্রেসের ভারত ককাসের সহ-সভাপতি ব্র্যাড শেরম্যান বলেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত তরঞ্জিত সিং সাধুর সঙ্গে কথা বলার জন্য উদ্যোগ নেন। যার জন্য তাঁর অন্যান্য রিপাবলিকান কো-কংগ্রেস স্টিভ চাবোট এবং ভাইস-চেয়ারম্যান কংগ্রেস সদস্য রো খান্নার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। শেরম্যান আরও বলেন, ‘আমি ভারত সরকারকে গণতন্ত্রের নিয়মাবলী বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছি। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছি।’
কংগ্রেস সদস্য স্টিভ কোহেন বলেছেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং বাক-স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত। তিনি টুইট করেন, ‘আমি ভারতের কৃষকদের বিক্ষোভের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। সেখানে ইন্টারনেট ইত্যাদি বন্ধ করে যেভাবে বাক-স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে সেগুলিও পর্যবেক্ষণ করছি’। পাশাপাশি কংগ্রেস সদস্য এরিক সোয়ালওয়েল টুইট করেছেন,‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত কৃষক, বৈচিত্র্য এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবেধের ওপর নির্মিত হয়েছিল। আমরা আমাদের মূল্যবোধ থেকে বিপথগামী হতে পারি না।’
৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশের কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির সীমানায় সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজীপুরে শিবির করে আছেন। দফায় দফায় সরকার ও কৃষক ইউনিয়নের নেতারা বৈঠকে বসেছেন, কিন্তু অচলাবস্থা কাটেনি। চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির আগে কৃষকরা যেখানে জমায়েত করেছেন তার আশেপাশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।