মালদা সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে কৃষকদের হাল ফিরবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই কথার পাল্টা দিলেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন। বললেন, ‘রাজ্যের কৃষক যদি বঞ্চিতই থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কেন পরপর ৬ বার বাংলাকে কৃষি কর্মন পুরস্কার দিল? নাড্ডা সাহেবের হোমওয়ার্কের প্রয়োজন আছে। কৃষকদের ক্ষেত্রে যে সব সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলো নকল করেছে।’
ইউনিসেফ ও বিশ্ব ব্যাঙ্ক রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের প্রশংসা করেছে। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এমনই দাবি করলেন দোলা সেন। তিনি বললেন, ‘ভোটের সঙ্গে দুয়ারে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। বিরোধীরা বলছে, ভোট আসছে বলেই নাকি রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য দুয়ারে সরকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি, এবার থেকে প্রতি বছর দুবার করে দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ দুবার করে মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা সরকারকে জানাতে পারবেন এবং সহায়তা পাবেন। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হবে দুটি ধাপে। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ধাপ। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় ধাপ। মার্চ, এপ্রিল নাগাদ মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকে। আবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো, কালি পুজো থাকে অক্টোবর, নভেম্বরে। তাই প্রথম ধাপ আগস্টে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দ্বিতীয় ধাপ হবে ডিসেম্বরে। ভোটের সঙ্গে দুয়ারে সরকারকে জড়াবেন না।’
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তুলোধনা করেন দোলা সেন। তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৯-এ এসে মোদী সরকার দেশ বিক্রির জন্য নাম কিনেছে। রেল, সেল থেকে বিএসএনএল বেচে দিচ্ছে এই সরকার। অস্ত্র কারখানায় ৭৪ শতাংশ বেসরকারিকরণ হয়েছে। অস্ত্র দেশের কি সেক্টর। দেশের সুরক্ষার প্রসঙ্গ জড়িয়ে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ছাড়া কারও জানার কথা নয় অস্ত্র কারখানা সম্পর্কে। সেখানে এই সরকার দেশের সুরক্ষা তুলে দিচ্ছেন বেসরকারি সংস্থার হাতে। ইতিমধ্যে ২৩টি রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাকে বিক্রি করার পরিকল্পনা চলছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন রুগ্ন বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, ব্রেথওয়েট, ডানলপকে বাঁচানোর জন্য তিনি রেল দফতর থেকে বরাত দিয়েছিলেন। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেনন। ডানলপ টায়ারের অর্ডার পেয়েছিল। আর এই সরকার রুগ্ন সংস্থাকে বাঁচানো তো দূরে থাক, লাভজনক সংস্থাকেও বিক্রির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’