টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ের স্বাদ অধরা রইল লাল-হলুদ ব্রিগেডের। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ২-০ ব্যবধানে ম্যাচ পকেটে পুরল বেঙ্গালুরু। প্রথম পর্বের ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে হার মানতে হল লাল-হলুদ শিবিরকে। প্রথম লেগে সুনীলদের বিরুদ্ধে গোল করা অ্যান্টনি পিলকিংটনকে এদিন প্রথম একাদশে রাখেননি ব্রিটিশ কোচ রবি ফাওলার। ম্যাচের ১২ মিনিটেই প্রথম আঘাত হানে বেঙ্গালুরু। গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুর লং বল থেকে স্কট নেভিলকে বোকা বানিয়ে হেড করে যান সুনীল ছেত্রী। বল পান ক্লেইটন সিলভা। ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ড্যানি ফক্সকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে গোলে বল জড়ান সিলভা। ম্যাচের রাশ নিজেদের পায়েই রেখেছিলেন সুনীলরা।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। বিরতির কিছুসময় আগে ব্যবধান বাড়ায় বেঙ্গালুরু। রাহুল ভেকের ডানদিক থেকে করা সেন্টার ধরে শট করেন প্রয়াগ শ্রীবাস। দ্বিতীয় পোস্টে লেগে বেরিয়ে আসার সময় ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক দেবজিতের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায় বল। দ্বিতীয়ার্ধে বারবার আক্রমণ করলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি ব্রাইটরা। ৬৯ মিনিটে অ্যারন আমেদি হলওয়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেননি। ৭০ মিনিটে পিলকিংটনকে মাঠে নামান রবি ফাওলার। যদিও তাতে ফলাফল কিছু বদলায়নি। ৭৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারত বেঙ্গালুরু। উদান্তার ব্যাক হিল থেকে বল নিয়ে সুনীলকে পাস করেন ক্লেইটন। গোল করতে ব্যর্থ হন সুনীল। ৮৫ মিনিটে রানা ঘরামির ভুল থেকে বল পান সুনীল ছেত্রী। তাঁর শট ক্রসবারে লেগে বাইরে যায়। ৮৯ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। রানার সেন্টার থেকে পিলকিংটন হেড করলেও বল বাইরে যায়।
মঙ্গলবার এই জয়ের ফলে শিগ টেবলে ছ’নম্বরে উঠে এল নওসাদ মুসার দল। ১৫ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দশ নম্বরেই থাকল ইস্টবেঙ্গল। ১৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। ম্যাচের শেষ দিকে হলুদ কার্ড দেখায় চেন্নাইয়নের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেই রাহুল ভেকে। সবমিলিয়ে শেষ চারের স্বপ্ন কার্যত শেষ লাল-হলুদ শিবিরের।