ফের ভক্তদের হতাশ করল লাল-হলুদ শিবির। জয়ের সরণীতে কিছুতেই ফিরতে পারছে না তারা। শুক্রবার ১০ জনের এফসি গোয়াকে বাগে পেয়েও হারাতে ব্যর্থ রবি ফাউলারের ছাত্ররা। ম্যাচ ড্র হল ১-১ ব্যবধানে। প্রথমার্ধে ইগর অ্যাঙ্গুলোর গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরান ড্যানি ফক্স। এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। গোয়ার বিরুদ্ধে ড্র করে লিগ টেবলে দশম স্থানেই রইল ফাউলার-ব্রিগেড। ১৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ মাত্র ১৩ পয়েন্ট। আর সমসংখ্যক ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে এফসি গোয়া। শেষ চারের দৌড়ে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় তারা।
গত ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হারের পর শুক্রবার দলে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিলেন ফাউলার। মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে ভাইয়ের অকালপ্রয়াণ সত্ত্বেও এদিন শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন লাল-হলুদ স্ট্রাইকার ব্রাইট। তবে দলকে জেতাতে না পারায় ম্যাচ শেষে বেশ মনমরা ছিলেন তিনি। কার্ড ও চোট সমস্যায় জর্জরিত গোয়ার রক্ষণে ছিলেন না দুই বিদেশি ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেস ও জেমস ডেনাশে। যার সুযোগ শুরুতেই কাজে লাগাতে পারত ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু শেষমেশ তা আর হয়নি। এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বক্সের মধ্যে নারায়ণকে ফাউল করেন মহম্মদ আলি। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি রেফারি। তবে তা থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন পিলকিংটন। খেলার শুরুতেই এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হয় ইস্ট বেঙ্গলকে। এবরপর ফের একবার রক্ষণের ভুলে গোল হজম করে লাল-হলুদ শিবির। অজয় ছেত্রীর মিস পাস থেকে ইগর অ্যাঙ্গুলোকে গোলের জন্য বল সাজিয়ে দেন আলবার্তো নগুয়েরা। যা থেকে দেবজিৎকে পরাস্ত করে লিগে দশম গোলটি সেরে ফেলেন অ্যাঙ্গুলো। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও গোয়ার রক্ষণে চাপ বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন মাঘোমারা। ৬৪ মিনিটে বক্সের ঠিক প্রান্তে ব্রাইটকে ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় ইস্ট বেঙ্গল। যা থেকে পিলকিংটনের শট তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন বিপক্ষ গোলরক্ষক ধীরাজ সিংহ। আর সেই বল জালে জড়াতে ভুল হয়নি লাল-হলুদ অধিনায়ক ড্যানি ফক্সের। এরপরেই ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গোয়ার এডু বেদিয়া। যদিও এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি লাল-হলুদ বাহিনী।
শুক্রবার আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অ্যাডভান্টেজ পেতেই জেজের পরিবর্তে হরমনপ্রীতকে নামিয়ে চাপ বাড়ান রবি ফাউলার। যদিও দুর্ভাগ্যক্রমে গোল পেতে ব্যর্থ এই তরুণ স্ট্রাইকার। নারায়ণের পাস থেকে হরমনপ্রীতের বাঁ পায়ের শট কোনওরকমে বাঁচান ধীরাজ সিংহ। এই পর্বে উইং থেকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন ব্রাইট। একাধিক সুযোগ তৈরি হওয়ার পরেও তা কাজে লাগাতে না পারায়, মাঘোমার পরিবর্তে অ্যারনকে নামিয়ে শেষ চেষ্টা চালান ফাউলার। তবে তাতেও গোল আসেনি। পয়েন্ট নষ্ট হওয়ায় সেমিফাইনালের রাস্তা আরও কঠিন হয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গলের কাছে।