কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ২৬ নভেম্বর থেকে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। দিল্লীর সীমান্ত অঞ্চলে প্রথম থেকেই শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু শুক্রবার সেই আন্দোলন ক্ষেত্রেও কৃষকদের সঙ্গে ধুন্ধুমার লাগে এলাকার বাসিন্দাদের। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই শুক্রবার ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকদের কাছে পৌঁছে যান ২০০ জন স্থানীয়। তবে এরই মধ্যে শনিবার, ৩০ জানুয়ারি অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিবসে সারা দিন কৃষকরা অনশন করবেন বলে জানা গিয়েছে। ‘সদ্ভাবনা দিবস’ উপলক্ষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।
সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই অনশন চলবে। তবে শুধু কৃষকদের মধ্যেই এই অনশন সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি তাঁরা। দেশের সাধারণ মানুষকেও এই অনশনে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছেন। এছাড়াও গাজিপুর সীমান্তে জড়ো হয়ে ফের দিল্লী যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা।
শুক্রবার ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েতের নেতৃত্বে মুজাফফরনগরে মহাপঞ্চায়েতে জড়ো হন হাজার হাজার কৃষক। সেখানেই পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই তাঁরা জানান যে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই ফের শনিবার থেকে দিল্লী অভিযানের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সেখানে আবার আপ নেতা সঞ্জয় সিং কৃষকদের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কৃষক আন্দোলন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল। অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন আন্দোলন থেকে। কিন্তু কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের কান্না আন্দোলনের প্রাণ ফিরিয়ে আনে। আবার যোগ দেন বহু কৃষক।
প্রসঙ্গত গত ২৬ জানুয়ারি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা রাজধানী। কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে পুলিশের সঙ্গে অশান্তি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। শুক্রবার ফের দিল্লীর সিংঘু সীমান্তে শুক্রবার কয়েকজন স্থানীয় জড়ো হন। নিজেদের স্থানীয় বলে দাবি করেন তাঁরা এবং সিংঘু এলাকা ফাঁকা করার দাবি করেন। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি। অন্যদিকে কৃষকদের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়,তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।