আজই বিজেপি-তে যোগ দিতে চার্টার্ড বিমানে চড়ে দিল্লী রওনা হয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল ও রথীন চক্রবর্তী। স্বাভাবিকভাবেই নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূল শিবির। আজ হাওড়া জেলার বাঁকড়ায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজীব-বৈশালীদের কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ‘‘দলত্যাগী বিধায়করা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের কেন্দ্রে প্রার্থী হোন।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার বাঁকড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি ভবন উদ্বোধনে যান কল্যাণ। সেখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রবীর ঘোষালকে একযোগে চ্যালেঞ্জ ঠুকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বুকের পাটা থাকলে ওঁরা নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রে দাঁড়ান। মানুষ তাঁদের উত্তর দেবে।’’ প্রসঙ্গত তৃণমূলে থাকাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়া হাওড়ার ডোমজুড়ের বিধায়ক ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু এবং রাজীব রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। উত্তরপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল অবশ্য এখনও খাতায় কলমে তৃণমূল শিবিরেই রয়েছেন। যদিও সেই তকমা গায়ে নিয়েই শনিবার দিল্লীগামী চার্টার্ড বিমানে সওয়ার হয়েছেন প্রবীর। সেই প্রসঙ্গে এ দিন তাঁদের তোপ দাগেন কল্যাণ। ‘‘বিজেপিতে গেলে প্রচুর টাকা, স্ট্যাটাস, বড় মন্ত্রিত্ব সব পাওয়া যাবে। তাই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তৃণমূল গরিব পার্টি। তাই ছোট গাড়িতে চড়েন জন প্রতিনিধিরা।’’ জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।
উল্লেখ্য, শনিবার বিধানসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে দেখা গিয়েছিল রাজীবকে। ‘দলনেত্রী মায়ের মতো’ এমনও বলেছিলেন রাজীব। তা নিয়ে কল্যাণের কটাক্ষ, ‘‘মুখে মুখ্যমন্ত্রীকে মায়ের মতো শ্রদ্ধার কথা বলছেন, অথচ বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকেই শেষ করার চক্রান্ত করছেন। ওঁর কান্না পুরোটাই নাটক।’’
