অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারেননি চেতেশ্বর পূজারা। তবে ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে তিনি কামিন্স, স্টার্কদের গোলাগুলি সামলে ২১১ বলে ৫৬ রান যোগ করেছিলেন, তা দারুণ প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেটমহলে। তিনি যদি সেই সময় মাটি কামড়ে পড়ে না থাকতেন, তাহলে ঋষভ পন্থের পক্ষে এমন এক মহাকাব্যিক জয় উপহার দেওয়া হয়তো সম্ভব হতো না। আসলে গাব্বা টেস্টে পূজারাকেই টার্গেট করেছিলেন অজি পেসাররা। বিশেষ করে হ্যাজলউডের একের পর এক বাউন্সার ধেয়ে এসেছিল তাঁর শরীর লক্ষ্য করে। বলের আঘাতে দেহের বিভিন্ন অংশে চাকা চাকা দাগ হয়ে গিয়েছিল। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হলেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি পূজারা। ব্রিসবেনের ‘অম্ল-মধুর’ স্মৃতি তিনি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন।
সোমবার প্র্যাকটিসে নামার কথা কোহলি, রুটদের। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী পেস ব্রিগেড ইংল্যান্ডেরও। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, জোফ্রা আর্চারের পাশাপাশি বেন স্টোকসকেও সামলাতে হবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। পূজারা অবশ্য তা নিয়ে মোটেও বিচলিত নন। বিশ্বের তামাম পেস তারকাদের জন্য তাঁর বার্তা, ‘আমার শরীরে যত আঘাত করবে, ততই ভালো খেলব। ব্যাট হাতে পাল্টা প্রত্যাঘাত হানব। অজি পেসাররাও নানাভাবে আমার ফোকাস নড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গেমপ্ল্যান থেকে কখনও সরে আসিনি। ইংল্যান্ডের পেসারদের বিরুদ্ধে আমার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। জোফ্রার বিরুদ্ধে কাউন্টিতে খেলেছি। সামলেছি অ্যান্ডারসন-ব্রডদের। ওদের গুরুত্ব দিয়েও বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা বিশ্বের সেরা পেস আক্রমণ নয়। তাছাড়া আমরা দেশের মাটিতে খেলব। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের পেসারদের মোকাবিলা করতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
পূজারা জানিয়েছেন, ‘এখনও ব্যথা রয়েছে। কালশিটে দাগও যায়নি। ওই জায়গাগুলিতে হাত দিলেই ব্রিসবেনের ইনিংসের কথা মনে পড়ে। ১১ বার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বল আঘাত করেছিল। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হওয়া সত্ত্বেও কখনও মাঠ ছাড়ার কথা ভাবিনি। তবে আঙুলে লাগার পর সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আর হয়তো ব্যাট করতে পারব না। আসলে সিডনিতেই আঙুলে চোট পেয়েছিলাম। সেখানেই ফের লাগে। ফিজিও নীতিন প্যাটেল এসে জিগ্যেস করল, পেন কিলার খাবে? আমি সঙ্গেসঙ্গে না বলে দিলাম। ব্যাট ঠিক মতো গ্রিপ করতেও অসুবিধা হচ্ছিল। তবুও হাল ছাড়িনি। কারণ, সিরিজ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ওই সময়টা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।