রাজ্যসভায় বা লোকসভায় কখনো থিয়েটারের কোন লোক স্থান পাননি। স্বাধীনতার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি আন্দোলনের জঠোরের লোকজন সে নাটকেরই হোক বা গানের, লোকসভা বা রাজ্য সভায় পাঠিয়েছেন। ২০১১ থেকে ২০২০ অবধি রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর শুধু থিয়েটারের জন্যেই ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এইভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং তৃণমূল সরকারের একজন বিধায়ক এবং একজন সাংসদ ব্রাত্য বসু ও অর্পিতা ঘোষ। ব্রাত্য-অর্পিতার হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিলেন একঝাঁক নাট্যব্যক্তিত্ব।
সাংসদ অর্পিতা ঘোষ জানান, বাংলায় জোর করে অন্য সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রয়াসকে রুখে দিতে থিয়েটারের মানুষ আজ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থিয়েটারের মানুষদের কথা চিন্তা করেছেন। মমতার উপর ভরসা রেখেই সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্তরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।
ব্রাত্য জানান মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব শেখর সমাদ্দার, বিজয় মুখোপাধ্যায়, অনীশ ঘোষ গৌতম মুখোপাধ্যায়, আশীষ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে অনেকেই কলকাতার বাইরের জেলাগুলিতে নাট্য চর্চা করেন।
তিনি আরও জানান, বিজেপি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে শিল্পের বহু গ্র্যান্ড বন্ধ করেছেন। বাংলা সংস্কৃতিকে বিকৃত করার বিজেপির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন শিল্পীরা। বাম আমলেও শিল্পীরাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
এছাড়াও বিধায়ক ব্রাত্য বসু এদিন রাজ্য সরকারের কিছু জনকল্যাণমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, দুর্গা পুজোর ফলে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। রাজ্য সরকারের তন্তুজ গত অর্থ বর্ষে ১৪ কোটি টাকা লাভ করেছে। স্বনির্ভর সংস্থাগুলিতে লক্ষ লক্ষ মহিলা কাজের সুযোগ পেয়েছেন।
ব্রাত্য বসু আরও বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে কাজ করতে চাইছেন বাংলার শিল্পীরা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। বিজেপি বম্বের গায়ককে দলে যোগ দেওয়াতে পারবেন। কিন্তু একজনও বুদ্ধিজীবীকে দলে যোগ দেওয়াতে পারবেন না। এর আগে একাধিক শিল্পী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পরবর্তী কালে আবার ফিরেও এসেছেন। অনুরাগ কাশ্যপকে অপমান করেছে। আয়ুষ্মান খুরানাকে দলিতদের পক্ষ নেওয়ার জন্য অপমান করা হয়েছে, বলে দাবি ব্রাত্যর।