মঙ্গলবার রাজধানী দিল্লীর বুকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি এবং লালকেল্লায় বিক্ষোভের জেরে রাত পোহাতেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকা ও দিল্লীর সীমানাগুলিতে। আর আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন।
কেন্দ্রের তিন কৃষি বিরোধী আইন প্রত্যাহারের জন্য গত নভেম্বর থেকেই চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সরকারের সঙ্গে ১১ দফা আলোচনার পরেও কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় গতকাল, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর র্যালি বের করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু তাতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকেই একদল মানুষ চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। নির্দিষ্ট রুট ভেঙে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আন্দোলন। একসময়ে র্যালি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লী। ট্র্যাক্টর চাপা পড়ে মৃত্যুও হয় এক কৃষকের। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার পাশেই ওড়ানো হয় শিখ আন্দোলনকারীদের নিশান।
তারপরই বিকেলে জরুরি বৈঠক করেন অমিত শাহ। তার পরে পুলিশ ঢুকে লালকেল্লা খালি করে এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ঘটনার পরে দিল্লীর একাধিক সীমানা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। হরিয়ানার ও উত্তরপ্রদেশেরও একাধিক জায়গায় চলছে কড়াকড়ি। সিংঘু সীমান্ত, লাল কেল্লায় বাড়ানো হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা। জানা গেছে, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসার কথা কৃষক নেতাদের। সিংঘু সীমানায় এদিন পঞ্জাবের কৃষক নেতারা বৈঠক করবেন। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করতেই এই বৈঠক।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই পুলিশ অন্তত চারটি মামলা রুজু করেছে দিল্লীর এই সংঘর্ষ ঘিরে। অভিযোগ, আন্দোলনের নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেওয়া সত্ত্বেও ট্র্যাক্টর মিছিল করতে করতে বিভিন্ন দিকে চলে যান কৃষকরা। একটি বিবৃতি দিয়ে কৃষক মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, ‘যারা শৃঙ্খলা ভেঙে এইসব কাজ করেছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছি আমরা। আমরা সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা মেনে চলতে। দেশের ঐক্য ও সম্মান নষ্ট হয় এই ধরনের কোনও কাজে যুক্ত না হতে। আমরা সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন করছি।’