মঙ্গলবার, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আন্দোলনকারী কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালিকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল রাজধানী। রাজপথে ব্যারিকেড ভাঙা থেকে ‘লালকেল্লা দখল’, সারাদিনই খবরের শিরোনামে ছিলেন কৃষকরা। গতকাল প্রথম যে নেতা দিল্লীতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেছিলেন, সেই সতনাম সিং পান্নু জানিয়েছেন, তাঁদের মিছিল থেকে বারবার পুলিশকে বলা হয়েছিল তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে আউটার রিং রোডে যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁদের যেতে বাধা দিয়েছিল। তাই তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙেছিলেন। তিনি এ-ও বলেন, লালকেল্লার ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কৃষক আন্দোলনের বদনাম করার জন্য বিজেপিই লালকেল্লার বিক্ষোভ সংগঠিত করেছিল। উল্লেখ্য, সতনাম সিং পান্নু কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্য। তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ওই সংগঠন গত দু’মাস ধরে দিল্লী সীমান্তে অবস্থান করছে। ওই সংগঠনের সদস্যরাই দিল্লীর ‘মুকারবা চৌক’ অঞ্চলে প্রথমে ব্যারিকেড ভাঙে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালিকে কেন্দ্র করে দিল্লীতে ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। বহু জায়গায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা হয়। দিল্লীর কেন্দ্রে পৌঁছে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও লিপ্ত হন। বিক্ষোভকারীদের একাংশ ঐতিহাসিক লালকেল্লাতেও ঢুকে পড়েন। সেখানে ‘নিশান সাহিব’ পতাকা উড়িয়ে দেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে, সতনাম বলেন, মিছিলের রুট যে বদলানো হয়েছে, তা আগে জানানো হয়নি। তাঁর কথায়, ‘আমরা দিল্লীর কাছে পৌঁছে ঘোষণা করেছিলাম, আউটার রিং রোডে যেতে চাই। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাও তাই বলেছিল। পরে তারা বলে, ওই পথে যাবে না। পুলিশ আমাদের থামাতে চেষ্টা করলে আমরা ব্যারিকেড ভেঙে দিই।’ লালকেল্লার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেখানে যা হয়েছে, তাঁর জন্য দায়ী দীপ সিধু। পুলিশ তাকে থামায়নি কেন? সে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ।’