মঙ্গলবার, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের নেপথ্যে যাঁর হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যাঁর বিরুদ্ধে দিল্লীর প্রতিবাদী কৃষকদের ক্ষেপিয়ে তোলার অভিযোগ, সেই পাঞ্জাবি গায়ক-অভিনেতা দীপ সিধু অবশেষে মুখ খুললেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তাঁর প্রশ্ন, ‘এক জনের পক্ষে কি লক্ষ লক্ষ কৃষককে উত্তেজিত করা সম্ভব? আমি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম মাত্র।’ নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সাফাই গাইলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিজেপি যোগের কথা উল্লেখ করে কৃষক নেতারা প্রজাতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায় অভিযোগ করেন, দীপ সিধু নামে ওই মোদী ঘনিষ্ঠ গায়ক-অভিনেতাই আন্দোলনের গায়ে কালি ছেটাতে ট্র্যাক্টর মিছিলকে বেপথে চালিত করেছেন। গতকাল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের হরিয়ানা ইউনিটের প্রধান গুরনাম সিং চাড়ুনি বলেন, ‘পাঞ্জাবি গায়ক দীপ সিধুর নেতৃত্বেই কৃষকদের একটি দল লালকেল্লায় গিয়েছিল। ওই হিংসায় উসকানি দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের উত্যক্ত করেছে।’
রাতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদবও বলেন, ‘দীপ সিধু কৃষকদের তাণ্ডবের সময় লালকেল্লায় উপস্থিত ছিলেন। প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীরা তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। শাম্বু সীমানায় যখন তিনি প্রথম বার আন্দোলনে যোগ দিতে আসেন, তখন তাঁর দলবদলের কাজকর্ম দেখে প্রতিবাদরত কৃষকরা ওই সঙ্গ থেকে সরে এসেছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’
এরপরই ফেসবুকে সাফাই দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন দীপ সিধু। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করে বলেন, ‘লালকেল্লায় যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। যৌথ সিদ্ধান্তেই সেখানে যাওয়া হয়েছে। ভারতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটিও ভুয়ো। ওখানে ভারতীয় পতাকার নীচে নিশান সাহিব উড়িয়ে দিয়েছিলেন কৃষকরা। এতে জাতীয় মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়নি।’ তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের অধিকার যখন লঙ্ঘিত হয়, দিনের পর দিন প্রশাসন পাত্তা না দিয়ে ফেলে রাখে, তখন এমন রাগ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। যার পরিণতি এই আন্দোলন।