বায়ুদূষণ রুখতে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিলো কেন্দ্র। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে এবার পুরনো গাড়িতে ‘গ্রিন ট্যাক্স’ বা দূষণ কর চাপাতে চলেছে কেন্দ্র। এই কর প্রস্তাবে সম্মতি মিলেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরীর তরফে। জানা যাচ্ছে, ১৫ বছরের বেশি সরকারি কাজে ব্যবহৃত গাড়িও বাতিল হবে আগামী অর্থবর্ষ থেকেই।
সূত্রের খবর, যে সব গাড়ি পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী, মূলত তাদেরকেই বাতিলের খাতায় পাঠাতে এই গ্রিন ট্যাক্স বা দূষণ কর বসানো হচ্ছে। করোনা আবহের আগে থেকেই গাড়ি বাজারে মন্দা দেখা যায়। চাহিদা না থাকায় উৎপাদন তলানিতে ঠেকে। গাড়ি শিল্প তথা সামগ্রিক অর্থনীতিতে কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপের জেরে মন্দার মুখ দেখতে হয়েছে গাড়ি নির্মাতাদের। পুরনো গাড়ি বাতিল করার পক্ষে বরাবরই সওয়াল করে এসেছে তারা।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই কর বসালে পুরনো গাড়ি বাতিল করা এবং নতুন গাড়ির কেনার তাগিদ তৈরি হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, ৮ বছর বা তার বেশি পুরনো গাড়ি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে রোড করের উপর ১০ থেকে ২৫ শতাংশ অবধি এই দূষণ কর বসতে পারে। ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নবীকরণের সময় এই কর ধার্য করা হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ বছর বা ততোধিক হলে বসবে এই কর।
এই প্রস্তাবে আরও জানানো হয়েছে, যে সব শহরে বর্তমানে দূষণের মাত্রা বেশি (যেমন, দিল্লী-মুম্বই) সেখানে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এই কর ধার্য হতে পারে। জ্বালানি (পেট্রোল ও ডিজেল) এবং গাড়ির প্রকারভেদ অনুযায়ী বিভিন্ন মাত্রায় বসবে গ্রিন ট্যাক্স। এছাড়া, বৈদ্যুতিক, হাইব্রিড, ইথানল, সিএনজি, এলপিজি দ্বারা চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে এই করের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত গাড়িও এই করের বাইরে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।