সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা টিভি চ্যানেল, আজ সর্বত্রই একটাই চিত্র ধরা পড়েছে- সাধারণতন্ত্র দিবসে কার্যত দিল্লীর দখল নিয়েছেন গত ২ মাসে ধরে রাজধানীর সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকেরা। এমনকি লালকেল্লায় ঢুকেও সেখানে নিজেদের আন্দোলনের নিশান ওড়ায় কৃষকরা। তবে এই ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে গুজবও মুড়ি-মুড়কির মত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে যে কোনো সময় হিংসাত্বক ঘটনা ঘটতে পারে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত এনসিআর এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুজব আটকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সিঙ্ঘু, গাজিপুর, তিরকি অঞ্চলের ইন্টারনেটও বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ২৫টিরও বেশি মেট্রো স্টেশন।
এ দিন কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেডের জন্য রুট বেধে দিয়েছিল দিল্লী পুলিশ। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছিল ৩৭টি শর্ত। কিন্তু ওই প্যারেড শুরু থেকেই রুট ভাঙে, ভেঙ ফেলে ব্যারিকেডও। মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া, লাঠিচার্জ, কিছুই বাদ রাখেনি দিল্লী পুলিশ। কিন্তু কৃষকদের বেপরোয়া আগ্রাসনের সামনে কার্যত ভেঙে পরে তাদের বলয়।
তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং আন্দোলনকারীদের বারংবার শান্তি নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ করেছেন। শৃঙ্খলাভঙ্গ না করতে অনুরোধ করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলতও। সাধারণতন্ত্রদিবসে এহেন পরিস্থিতি এর আগে কখনও দেখেনি দেশ। ফলে বিরোধীরা আঙুল তুলছেন মোদী সরকারের দিকেই। এদিকে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অনেকে মনে করাচ্ছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবন অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষকদের। কেন্দ্র কৃষি আইন বাতিল না করলে আন্দোলন আরও বৃহৎ হবে।