আর পাঁচ জনের মতোই দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু সেই কার্ড হাতে পাওয়ার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেখানে পৌঁছে করে দেওয়া হল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
গলসির বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, রাজ্য সরকার যে দুয়ারে সরকার শিবির করেছে তাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়ার জন্য অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। ওই মহিলা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা হাতে পাওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই প্রশাসন হাসপাতালে গিয়ে তাঁর হাতে সেই কার্ড তুলে দিল। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তাও তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে হাসপাতলে তাঁর বেডে পৌঁছে গেলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। দ্রুততার সঙ্গে ছবি তুলে তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। সোমবার রাতে প্রশাসনের এই তৎপরতার সাক্ষী থাকলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যান্য রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।
পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির বাসিন্দা সুলেখা আঁকুড়ে। ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে তিনি ভর্তি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডে। সোমবার রাতে সেই ওয়ার্ডের পৌঁছে গেলেন গলসি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।সঙ্গে ছিলেন গলসির বিধায়ক অলোক মাঝিও। সেখানেই দ্রুততার সঙ্গে ছবি তুলে তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড। প্রশাসনের এই তৎপরতায় আপ্লুত সুলেখাদেবী ও তাঁর আত্মীয় পরিজনরা।