১৯৫০ সালে এই দিন থেকেই ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয়। যে সংবিধান মেনে দেশের শাসন ব্যবস্থা থেকে আইন শৃঙ্খলার নিউক্লিয়াস গঠিত হয়েছে। একদিকে এই দিনকে স্মরণে রেখে ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের গর্বে দেশ দিল্লীর রাজপথে কুচকাওয়াজ পালন করল। অন্যদিকে, এমন এক দিনে রাজধানীর বুকে কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ দেখল দেশ। দিল্লীর আইটিওতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতর মধ্যে উঠে এল কিছু ছবি।
সেন্ট্রাল দিল্লির আইটিওতে এদিন বিক্ষোভকারীরা বাস ভাঙচুর করতে শুরু করে। মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। দেশ যেদিন প্রজাতন্ত্র দিবসের গর্বে রাজপথে কুচকাওয়াজে মুগ্ধ, তখনই দিল্লির রাস্তায় জাতীয় পতাকা থেকে হলুদ রঙের পতাকা সঙ্গে নিয়ে কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়্যালি দেখা যায়। তেড়ে এসে ব্যারিকেড ভাঙার ছবিও ধরা পড়ে ক্যামেরায়।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে কৃষকরা বাঁচাতে থাকেন পুলিশকে।এই ছবি সেন্ট্রাল দিল্লীর আইটিওতে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা একজন পুলিশকর্মীকে ঘিরে ধরতেই কিছু আন্দোলনরত কৃষক তাঁদের হাত থেকে এই পুলিশ কর্মীদের বাঁচিয়ে নিয়ে চলে যান। এদিকে, পুলিশকে কৃষকরা যে রুটে মার্চ করার কথা জানিয়েছেন, তার উল্টো পথে তাঁরা যাত্রা করেন। ফলে দিল্লীর বুকে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।
কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, বৈঠকে নির্ধারিত রুট মেনে মিছিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি সংগঠনে আগেভাগেই মিছিল শুরু করে দিয়েছে। সঙ্গে নির্ধারিত রুটেও যেতে চাইছে না। কৃষক নেতা নরেশ নেতা বলেন, ‘এরা যুবপ্রজন্মের এবং আবেগে ভেসে গিয়েছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণ এবং অহিংসাত্মক বিক্ষোভের আর্জি জানাচ্ছি।’