মোট ২০টা ম্যাচ। তার মধ্যে ১৩টি খেলা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রথম একাদশ সেট করতে পারেননি এসসি ইস্ট বেঙ্গলের কোচ রবি ফাউলার। তা সত্ত্বেও সমর্থকদের আশা, তাঁদের প্রিয় দল প্লে-অফে খেলবে! কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রথম চারটি দলের মধ্যে থাকতে পারবে না ইস্ট বেঙ্গল। এটা ঠিক যে, অন্যান্য দলের তুলনায় দেরিতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ফাউলার-ব্রিগেডের। তবে এটাও মানতে হবে যে, দল নিয়ে কোচের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাশুল দিতে হয়েছে দলকে। আগামী শুক্রবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন পিলকিংটন-মাঘোমারা। শেষ তিন ম্যাচে জয় না পাওয়া লাল-হলুদ ফুটবলাররা গোয়ার বিরুদ্ধে কি তিন পয়েন্ট পাবেন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এদিকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ফুটবলার পরিবর্তন করে হাবাস বাজিমাত করছেন। এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে লাল-হলুদ প্রশিক্ষক। ইস্ট বেঙ্গলের এখনও সাতটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। গোয়া ম্যাচের পর ২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে খেলবে লাল-হলুদ। তারপর ৭, ১২ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি স্কট নেভিলদের ম্যাচ যথাক্রমে জামশেদপুর, হায়দরাবাদ এফসি ও এটিকে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে। প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করতে হলে ইস্ট বেঙ্গলের অন্তত ২৮- ৩০ পয়েন্ট দরকার। যা সংগ্রহ করা এই মুহূর্তে কঠিন বলেই মনে হচ্ছে।
১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবিলের দশম স্থানে লাল-হলুদ শিবির। তাদের নীচে শুধুই ওড়িশা এফসি (১৩ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট)। কলকাতার আরেকটি দল এটিকে মোহন বাগান যখন খেতাবি লড়াইয়ে রয়েছে সেখানে লাল-হলুদ ব্রিগেডের এই দশা কেন? বেশ কিছু ম্যাচে ফাউলারের ভুলে ডুবেছে দল। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে ব্রাইটকে প্রথম একাদশে না রেখে ভুল করেছেন তিনি। পরে ব্রাইট নামার পর প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি হয়। চেন্নাইয়ান এফসি’র বিরুদ্ধে চোট না থাকা সত্ত্বেও স্টেইনম্যানকে দলে রাখেননি ফাউলার। আসলে গেম রিডিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ প্রাক্তন লিভারপুল ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণা নেই।