বিজেপি মাত্রেই যে নারীবিদ্বেষী, তা এতদিনে জলের মত পরিষ্কার। এবার এক শবর কিশোরী পরিচারিকার উপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রামের বিজেপির মহিলা মোর্চারই সভাপতির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক বিজেপি কর্মীরও। তিনি আবার পেশায় শিক্ষক। এদিকে, ওই কিশোরীর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কিশোরীর বয়ানকে হাতিয়ার করেই তীব্র প্রতিবাদে সরব তৃণমূল। আর তা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, সেই বিজেপি নেত্রী-সহ দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জামবনি ব্লকের দহিচাকুড়িয়া এলাকার কষাফুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী। ওই গ্রামেরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরূপ পাল তাকে স্কুলে ভর্তি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিশোরীকে ঝাড়গ্রামে নিয়ে যায় শিক্ষক। ঝাড়গ্রাম শহরের নতুনডিহি এলাকার বিজেপির মহিলা মোর্চার শহর সভাপতি সোমা পৈচ্ছার বাড়িতে থাকতে শুরু করে কিশোরী।
অভিযোগ, কোনও স্কুলে ভর্তি করানো হয়নি তাকে। পরিবর্তে সোমা পৈচ্ছার বাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। দিনকয়েক আগে কিশোরী কাঁদতে কাঁদতে পাড়ার একটি দোকানে চলে যায়। অভিযোগ করে তাকে খেতে দেওয়া হয় না। বেধড়ক মারধর করে ওই বিজেপি নেত্রী। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার অত্যাচারের কথা স্থানীয়দের জানায় কিশোরী। বারবার একই অভিযোগ শুনে স্থানীয়রা তৎপর হয়। তাকে নিয়ে থানায় যায়। অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে, গীতার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনায় সরব ঘাসফুল শিবির। যদিও বিজেপি নেত্রী সোমা পৈচ্ছা বলেন, “এটা একটা ষড়যন্ত্র। কিশোরীর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। ১৩ বছর বয়সে আমার এখানে এসেছিল। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ছেড়ে দিয়েছিল। আমি এখানে আসার পর পড়াশোনা শিখিয়েছি। জোর করে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে এই সব কথা বলানো হয়েছে।”