পুরশুড়ার সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, ‘বিজেপি মানে ভারত জ্বালাও পার্টি, ওদের কাছে মাথা নত করার আগে নিজের গলা কেটে দেব, তাও ভি আচ্ছা।’ পাশাপাশি ভিক্টোরিয়ায় স্লোগান বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। স্লোগানদাতাদের ‘ধর্মান্ধ’ বলে কড়া আক্রমণ শানান তিনি।
সোমবার হুগলীর পুরশুড়ার সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আমি বিজেপির কাছে মাথা নত করব না। তার চেয়ে বরং নিজের মাথা কেটে ফেলব।’ এরপরই দুই বাঙালি অভিনেত্রীর ওপর আক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘ওদের এত বড় সাহস, যে ওরা মা-বোনেদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করে। আমাকে দেবলীনা, সায়নী বলল, ফেসবুকে বিজেপি নাকি ওদের বলেছে, তোরা বাংলার বাইরে যাবি না, তোদের রেপ করে দেব। আমি বললাম এত সাহস, একটা করে দেখা না। তারপরে আমি দেখিয়ে দেব, মমতা ব্যানার্জিটা কী, আর পশ্চিমবঙ্গটা কী।’
ভিক্টোরিয়াকাণ্ডের কথা তুলে মমতা বলেন, ‘আপনারা কি ঘরে ডেকে বেরিয়ে যেতে বলবেন। আমি নেতাজির অনুষ্ঠানে গেলাম। এত বড় সাহস, কয়েকটা গর্ধব উগ্র ধর্মান্ধ আমায় টিজ করছে প্রধানমন্ত্রীর সামনে। আমায় ওরা চেনে না। আমায় বন্দুক দেখালে আমি বন্দুকের সিন্দুক দেখাবো। আমি বন্দুকে বিশ্বাস করি না, রাজনীতিতে করি, রাজনীতি দিয়েই এর জবাব দেব। তুমি নেতাজি নেতাজি করলে আমি স্যালুট করতাম। কিন্তু যারা এগুলে করেছে তারা বাংলা, নেতাজিকে অপমান করেছে। তার আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দলিতদের অপমান করেছে।’
গেরুয়া দলের বাংলাপ্রীতি, রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, ‘বারবার বাংলাকে অপমান করে চলেছে বিজেপি। যা বাংলার মানুষ কোনওভাবেই মেনে নেবে না।’ নিজেকে রাজ্যবাসীর পাহারদার এবং জনগণের সেবক বলে দাবি করে বিজেপিকে দাঙ্গাবাজদের দল বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ওদের কাজ ভুয়ো খবর রটানো। ফেক ভিডিও-ফেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানানো। ওদের বিশ্বাস করবেন না। আমি জেলে থাকতে রাজি, বিজেপির ঘরে থাকতে রাজি নই। বিজেপির কাছে মাথা নত করব না, তার চেয়ে নিজের গলা নিজে কেটে দেব।’