নিজেকে স্রেফ একজন বোলার হিসেবে দেখতে নারাজ শার্দূল ঠাকুর। বরং বোলিং অলরাউন্ডার তকমাটাই তাঁর বেশি পছন্দ। তাই ব্যাট হাতেও ধারাবাহিকতা দেখিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি। শার্দূলের কথায়, ‘বোলিং আমার প্রধান কাজ হলেও ব্যাটিং দারুণ উপভোগ করি। তাই আপানারা আমাকে বোলিং অলরাউন্ডার বলতেই পারেন। ব্রিসবেনের মতো ইনিংস ভবিষ্যতেও খেলতে চাই।’
বোলিং প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘সিনিয়র বোলাররা চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছি। সেই মহাপরীক্ষায় সফল হয়ে আমি রোমাঞ্চিত। প্রশংসা করতে হবে মহম্মদ সিরাজের মানসিক দৃঢ়তারও। বাবার মৃত্যুশোকও ওকে টলাতে পারেনি। ভালো বল করেছে নটরাজনও। সবমিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এবারের ঐতিহাসিক সিরিজ জয় টিম গেমেরই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টেস্টে পেস বোলার শার্দূল নিয়েছেন ৭টি উইকেট। শুধু তাই নয়, দলের জয়ে ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ১২৩ জুটি গড়ে দলকে বিপন্মুক্ত করেন তিনি। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শার্দূল উপহার দেন মূল্যবান ৬৭ রান। নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ‘পালঘর এক্সপ্রেস’ বলছেন, ‘দলের এরকম সাফল্যে অবদান রাখতে পেরে আমি গর্বিত। কাজটা অত্যন্ত কঠিন ছিল। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আশা ছাড়িনি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের স্কোর যথাসাধ্য টেনে নিয়ে যাওয়াই ছিল প্রধান লক্ষ্য। ইনিংসকে ছোট ছোট পর্বে ভাগ করে আমরা এগিয়েছি।’