আজ দুপুরে সমস্ত জল্পনা সত্যি করে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েই দিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনে গিয়েও নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে স্বভাবতই বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল, বিজেপি নির্বিশেষে সব দলের নেতৃত্বই বিষয়টিকে নিজস্ব দৃষ্টিতে দেখছে। তৃণমূলের মত, এই পদত্যাগ দলের কোনও ক্ষতি করবে না।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় খানিকটা বেসুরো হতেই তাঁকে বোঝানোর জন্য দফায় দফায় আলোচনায় বসেছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি বনমন্ত্রী। তবে মন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে বাধা পাচ্ছেন, সেই অভিযোগে বারবারই সরব হতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। আজ অবশেষে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন। এ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ”উনিই বলতে পারবেন, কেন ছাড়লেন। নিশ্চয়ই কোনও অসুবিধা হচ্ছিল। তবে আমি বলব, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। একদিন তাঁরা ঠিক বুঝবেন। কোনও কর্মী তো দল ছাড়ছেন না। কর্মীরাই দলের সম্পদ।”
এদিকে, যাঁর সঙ্গে রাজীবের সবচেয়ে বেশি দ্বন্দ্ব ছিল বলে হাওড়ার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অরূপ রায়ও তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তেমন বিচলিত নন। তাঁর কথায়, “দল কতদিন ধরে করছে? আমরা বহু আগে থেকে দল করছি। কেউ কেউ দলে নতুন যোগ দিয়ে, কাজ করার পরই যদি নানারকম বায়না, নালিশ করেন, তাহলে তো মুশকিল। যা হওয়ার তাই হয়েছে। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দল ঐক্যবদ্ধই রয়েছে।”