২০১৬-র রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেসপ্রার্থী হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। মানুষের ভোটে জিতে বিধানসভাতেও যান তিনি। তবে পরবর্তীকালে যোগ দেন তৃণমূলে। আর এবার একুশের ভোটের আগে শান্তিপুরের সেই বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য যোগ দিলেন বিজেপি শিবিরে। এদিকে, তাঁর যোগদানের পর থেকেই নদিয়া জেলা বিজেপির অন্দরে ক্রমশ ক্ষোভ দানা বাঁধছে এক পুরনো খুনের ঘটনাকে ঘিরে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণপাড়ায় রাতের দিকে খুন হয়েছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি বিপ্লব শিকদার। অভিযোগ ছিল, এই অরিন্দম ভট্টাচার্যের নির্দেশেই ওই খুন হয়। এরপর বিজেপিতে অরিন্দমের প্রবেশ নিয়ে শিকদার পরিবার প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে। বিপ্লব শিকদারের ছেলে কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে রীতিমত দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
বিপ্লব শিকদারের ছেলে সুফলের ফেসবুক লাইভের পর থেকেই নদিয়ার বিজেপি সরগরম। ক্ষোভ উগড়ে বিপ্লব শিকদারের স্ত্রী বলেন, যাঁরা খুনের নেপথ্যে ছিলেন, তাঁদের দলে প্রবেশ তিনি মানতে পারছেন না। বিজেপির একাংশের দাবি, বিজেপি পরিবারের কার্যকর্তাদের হত্যার ঘটনা এবং তারপর অরিন্দম ভট্টাচার্যের দলে প্রবেশ, গেরুয়া শিবিরেরই একাংশ মেনে নিতে পারছে না।
এদিকে, নদিয়ায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, বিপ্লব শিকদারের পরিবারকে কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে উস্কানি দিয়েছে। তবে তিনি নিজের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে সাফ জানান, “আমি জনপ্রতিনিধি। আর জনপ্রতিনিধি ঠিক করে দেয়না, কাকে দলে নেওয়া হবে। এটা সম্পূর্ণ দলের ব্যাপার।” জগন্নাথ সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে একই বার্তা দিয়েছেন মুকুল রায়ও। তাঁরও মত, শিকদার পরিবারকে রাজনৈতিক কারণে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সবাইকে মিলে একসঙ্গে চলার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।