এবার উত্তেজনার পারদ চড়ল গুজরাটে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই অর্থ সংগ্রহ ঘিরে গুজরাটের কচ্ছ জেলায় একটি শোভাযাত্রা চলাকালীন দু’টি অর্থসংগ্রহকারী দলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সূত্র অনুযায়ী, রবিবার এই ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, একজন মারা গিয়েছেন, একজন পুলিশকর্মী-সহ দলের অনেকেই আহত হয়েছেন। খুন, দাঙ্গা, আগুন লাগানো আর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।
এপ্রসঙ্গে আহত এক পুলিশ অফিসার জানান, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই শোভাযাত্রায় চেঁচিয়ে ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছিল, যা অন্য দলের সদস্যদের উসকে দিচ্ছিল, আর তখনই তরোয়াল আর লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে অন্য দলের সদস্যরা, আগুন লাগানোর চেষ্টাও করে। এমনকী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়েছে, জানিয়েছেন কচ্ছ(পূর্ব শাখা)-র এসপি ময়ূর পালিত। “শোভাযাত্রার পর কিড়ানা গ্রামের ওই অশান্তির জায়গা থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে একজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ পাওয়া যায়, যিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। আর এই সংঘর্ষের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” বলেছেন পালিত। রবিবার এই ‘রথযাত্রা’ আয়োজনের কোনও অনুমতি দলের কাছে ছিল না, তা জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগেও রামমন্দির তৈরির জন্য অর্থসংগ্রহকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, উজ্জয়িনী আর মান্দাসোর জেলা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহ ১.১১ লক্ষ টাকার একটি চেকের অনুদান দিয়েছেন অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণে। তিনি এই সমস্যার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও সওয়াল করেছেন। “লাঠি-তরোয়াল উঁচিয়ে, চেঁচিয়ে স্লোগান দিয়ে কোনও গোষ্ঠীকে প্ররোচিত করাটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারে না। এই ধরনের ঘটনা হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠান নয়… এর ফলে সামাজিক সাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনি জানেন যে, অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোও মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়। তাই, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, আপনি এই অর্থ সংগ্রহের শোভাযাত্রাগুলি পরিচালনা করুন।” জানিয়েছেন এই প্রবীণ সাংসদ।