মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকেই বর্ণনা করছেন মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে। বিজেপির রাজ্য নেতারা তা মানতে না চাইলেও, কেন্দ্রীয় নেতারা কিন্তু মমতার এই পদক্ষেপকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। মমতার এই আকস্মিক পদক্ষেপের পালটা রণকৌশল তৈরির লক্ষ্যে গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিল্লীতে দুটি জরুরি বৈঠক করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি দিল্লীতে বিজেপির সদর দপ্তরে প্রথমে দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে রাতে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ বিশেষ পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনোদ তাওড়ে, হরিশ দ্বিবেদী ও বিনোদ সোনকরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে এই পাঁচ পযর্বেক্ষক বাংলার ভোট সংক্রান্ত প্রস্তুতি রিপোর্ট জমা দেন। তার উপর ভিত্তি করে আগামিদিনে কী রণকৌশল নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এদিন প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। রাজ্যের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন রণকৌশলের উপর বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। পাশাপাশি, দলের মধ্যে কোনওরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলবে না, ভোটের আগে তা মেটাতেই হবে। এই বিষযটি যে ক্ষমতা দখলের পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে, তা দলের নেতা থেকে কর্মীদের বোঝাতে হবেই বলেই নাড্ডা পরামর্শ দিয়েছেন।