এবার শাসক শিবিরের পাশেই দাঁড়াল কর্ণাটক হাই কোর্ট। গোহত্যা বিরোধী আইন সংবিধানগত ভাবে বৈধ, রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে স্বস্তি দিয়ে এই রায়ই দিয়েছে আদালত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কর্ণাটকের ইয়েদুরাপ্পা-সরকারের গোহত্যা বিরোধী অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কর্ণাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মহম্মদ আরিফ জামিল-সহ আর কয়েকজন। তাঁদের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে হওয়া শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ নাভাদগি। তিনি জানান, সংবিধানে বর্ণিত আইন অনুযায়ীই গোহত্যা বিরোধী অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। উভয়পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে কর্ণাটক হাই কোর্ট। পরে এপ্রসঙ্গে জানায়, সংবিধানগত ভাবে বৈধ গোহত্যা বিরোধী আইন।
প্রসঙ্গত, বুধবার এই মামলার শুনানির সময় কর্ণাটক সরকারের তরফে হাই কোর্টে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে গত আট বছরে কর্ণাটকে গরুর পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে গোটা রাজ্যে ৯৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৮৪টি গরু ছিল। কিন্তু, ২০১৯ সালে সেই পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪টি। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, প্রতিবছর ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯৬টি গরুকে মাংসের জন্য হত্যা করা হয়। প্রতিদিন গড়ে যার পরিমাণ ৬৫২টি। গরুর স্বাস্থ্য দেখভালের জন্য রাজ্যজুড়ে ৪ হাজার ২১২টি পশু চিকিৎসা কেন্দ্রও পরিচালনা করছে কর্ণাটক সরকার।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক ফর অ্যানিমাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড হেলথ স্কিম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ভারতের এক কোটি ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৬৪টি গরুর মধ্যে ৯৬ লক্ষ গরুর শরীরে লাগানো হয়েছে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিভাইস।