আর কিছুদিন পরেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তৃণমূল সরকারকে ছোট করতে বারংবার বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধীরা। এরমধ্যেই গতকালই ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যখন রাজ্যে এসেছে কমিশনের ফুলবেঞ্চ, ঠিক তখনই মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দিল নবান্ন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা কমেছে অনেকটাই।
রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ঠিক কতটা কমেছে? রিপোর্টে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী পাচারের মতো বিভিন্ন অপরাধের কথা উল্লেখ করে তথ্য পেশ করেছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল ৩০ হাজার ৯৯৯টি। মাত্র এক বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৩৯৪। ২০১৯-র এসে সেই সংখ্যা কমেছে আরও। সরকারের দাবি, ২০১৯ সালে ভারতের ৮টি রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার ছিল বাংলার থেকে বেশি।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মহিলা। অথচ অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে না, উল্টে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রিপোর্ট কী বলছে? সরকারের দাবি, প্রতিবছর ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের হার কমছে বাংলায়। সেইদিক থেকে দেশের ২৩টি রাজ্যের তুলনায় মহিলারা সবথেকে বেশি নিরাপদ বাংলাতেই। এমনকী, ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, নারী পাচারের ক্ষেত্রেও ছবিটা একই। গ্রাফ নিম্নমুখী।