গত নভেম্বরে এনডিএ জোটের কাছে পরাজিত হলেও তাঁর নেতৃত্বে বিধানসভায় বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেয়েছ আরজেডি। সম্প্রতি ফোনে তাঁর কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা শুনেই অনেকের মনে হয়েছে, সরকারে না থাকলেও প্রশাসনের নানা স্তরে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের।
কিছুদিন আগে পাটনায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শিক্ষকরা। তাঁদের সমর্থন জানাতে গিয়েছিলেন তেজস্বী। তাঁকে বলা হয়, শিক্ষকরা যেখানে অবস্থান করতে চেয়েছিলেন, সেখানে তাঁদের বসতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তেজস্বী সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ প্রধান ও পাটনার জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। শিক্ষকদের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে দেওয়ার অনুমতি আদায় করেন আরজেডি প্রধান।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তেজস্বী বিক্ষোভস্থলে দাঁড়িয়ে পাটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিং-এর সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন শিক্ষকরা। জেলাশাসক কী বলছেন, তা স্পিকারে শোনা যাচ্ছে। তেজস্বী জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন, শিক্ষকদের ধরনা দিতে অনুমতি দেওয়া হয়নি কেন? তাঁদের কি রোজ অনুমতি নিতে হবে? তিনি অভিযোগ করেন, ‘শিক্ষকদের ওপরে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। তাঁদের খাবার ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তাড়া করা হয়েছে। এখন ইকো পার্কে তাঁদের কয়েকজন আমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন।’
আরজেডি বিধায়কের বক্তব্য, শিক্ষকরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন মাত্র। তিনি জেলাশাসককে বলেন, শিক্ষকদের আবেদন হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। জেলাশাসক বলেন, তিনি আবেদনটি দেখবেন। তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তেজস্বী বলেন, কব তক বাতাইয়ে। অর্থাৎ কখন জেলাশাসক আবেদনটি দেখবেন। তখন জেলাশাসক প্রশ্ন করেন, ‘কব তক মিনিং?’ তখন আরজেডি নেতা বলেন, ‘হম তেজস্বী যাদব বোল রহে হ্যায়।’
সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসকের গলার সুর পাল্টে যায়। তিনি বলেন, ‘আচ্ছা স্যার স্যার স্যার…’। তেজস্বী তখন বলেন, ‘আমি আপনাকে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে একটা টেক্সট পাঠাচ্ছি। আপনি তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিন। আমরা রাতে অবস্থান শুরু করব।’ এই বলে আরজেডি নেতা ফোন কেটে দেন। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি লিখেছেন, এই ভিডিওটি সবাই শেষ অবধি দেখুন। তাহলে বুঝতে পারবেন, কেন তেজস্বী যাদব দ্রুত একজন জননেতা হিসাবে উঠে আসছেন।