সদ্য তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে এবার সরাসরি আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সাংসদ। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কেও আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের এই তৃণমূল সাংসদ।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে অভিষেকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যান্য বিজেপি নেতাদের মুখেও বারবার শোনা গিয়েছে ‘ভাইপো তোলাবাজ’। কিন্তু কারও নাম করেননি তাঁরা। তৃণমূলের নেতারা এমনকী ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক খোদ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে বিজেপি নেতারা নাম বলুন ‘ভাইপো’র।
পরবর্তীতে ১৯ জানুয়ারি খেজুরির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁকে ‘তোলাবাজ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বিরুদ্ধে কয়লা, গরুপাচার-সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। সেই নোটিসে বলা হয়েছে, “কোনওরকম প্রমাণ ছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে শুভেন্দুকে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ওই নোটিসে দাবি করা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী দুর্নীতিগ্রস্ত। সেই কারণে নিজের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে নানাভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে, অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানহানিকর মন্তব্য করছেন শুভেন্দু। পাশপাাশি, কেডি সিংয়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন, তারও পাল্টা দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারবারের সাংসদ। এবিষয়ে এখনও শুভেন্দুবাবুর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।