এবার শুভেন্দু অধিকারীর র্যালি থেকে উঠল ‘গোলি মারো’ স্লোগান। বুধবার চন্দননগরে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন মিছিল ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সেই মিছিলে একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্ত এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর সেই মিছিল থেকেই ওঠে ‘গোলি মারো’ স্লোগান! যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির প্রথম সারির একাধিক সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন স্লোগান উঠল তা নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পর হুগলীর চন্দননগরে জনসভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে তালডাঙা মোড় থেকে সার্কাস ময়দান পর্যন্ত র্যালি। তখনই চন্দননগরের রথতলা মোড়ের কাছে ওঠে বিতর্কিত স্লোগান। শোনা যায়, ‘দেশ কে গদ্দারো কো, গোলি মারো…’, ‘হাম সে যো টকরায়েগা, চুরচুর হ যায়ে গা’ স্লোগানও ওঠে।
এদিনের রোড শো-তে উপস্থিত ছিলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, স্বপ্ন দাশগুপ্তদের মতো নেতারা। তাঁদের সামনেই কীভাবে এই স্লোগান উঠল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুরু হয়েছে সমালোচনাও। পরে সাফাই দিতে গিয়ে হুগলীর বিজেপি নেতা বলেন, দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করুক সেনা বাহিনী। রাজনৈতিক দল হিসাবে আমরা এটা চাই। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, দেশের গদ্দার কারা, সেটা কি বিজেপি ঠিক করে দেবে? দেশে কি আইন-কানুন নেই? প্রসঙ্গত, গত বছর দিল্লীতে এই স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তারপর তীব্র সমালোচনার মুখে পরে বিজেপি। কিন্তু অবস্থার যে কোনও পরিবর্তন হয়নি এদিনের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করল।