ধূপগুড়ির ডাম্পার দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বুধবার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। টুইট করে আহতদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার প্রার্থনা করেন মমতা। পরে পুরুলিয়া থেকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়েই মমতা ঘোষণা করেন, ধূপগুড়িতে পথ দূর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে আহতদের ৫০, অল্প আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ৫ জন ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এবং ১১ জন জলপাইগুড়ি জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মমতার নির্দেশে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন অরূপ বিশ্বাস ও গৌতম দেব।
মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ তিনটি ছোট গাড়ি করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন কনেপক্ষের আত্মীয়রা। সে সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই গাড়ি। জলঢাকা সেতুর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পাথর বোঝাই বোঝাই একটি লরি। সেটির পিছনে ধাক্কা মারে কনেযাত্রীর একটি গাড়ি।
এরপরেই পাথর বোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারায়। সেটি উল্টে যেতেই পিছনে থাকা দুটি যাত্রী বোঝাই গাড়ি পরপর ডাম্পারের উপর এসে পড়ে। সেই দুটি গাড়ির উপর হুড়মুড়িয়ে পাথরের স্তূপ আছড়ে পড়ে। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন ভয়াবহ দৃশ্য।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে হাজির হন ধূপগুড়ি থানার আইসি। ক্রেন দিয়ে চলে উদ্ধারকাজ। পাথরের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় আহতদের। উদ্ধার হয় মৃতদেহও। আহতদের প্রথমে ধূপগুড়ি হাসপাতালে এবং পরে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়।