দু’দিন আগে চুঁচু্ড়ার জোড়াঘাটে গঙ্গাপুজো করে গঙ্গা দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন চুঁচু্ড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। যেমন কথা তেমন কাজ। মঙ্গলবার কাকভোরেই কোদাল হাতে খাল পরিষ্কারে নামলেন খোদ তিনিই। আজ সকাল সকাল বিধায়ক হাজির হয়েছিলেন ব্যান্ডেল চার্চ সংলগ্ন রসভরা খালে। পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে খালের পাশে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কারে হাত লাগালেন তিনিও।
চুঁচুড়া পুরসভার চার-পাঁচ ও ছ’নম্বর ওয়ার্ড ও ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের কিছু এলাকার নিকাশির ভরসা এই রসভরা খাল। দীর্ঘদিন ধরে সেই নিকাশি খালের অবস্থা শোচনীয়। একটা সময় গঙ্গার খাঁড়ি এই খালে নৌকা চলত। আজ তা কল্পনাতীত। পাঁক আর নোংরা আবর্জনায় ভরে থাকা খাল এলাকার মানুষের সমস্যা বাড়িয়েছে। পরিষ্কার না হওয়ায় দুর্গন্ধ আর মাছি মশার আঁতুর ঘরে পরিণত হয়েছে আশেপাশের এলাকা। খালের পাশে জমে থাকা সেই আবর্জনা পরিষ্কারেই এদিন হাত লাগান শাসক দলের বিধায়ক। এগিয়ে যান কোদাল হাতে।
অসিতবাবু বলেন, ‘‘দুদিন আগেই বলেছিলাম গঙ্গা দূষণ হচ্ছে জানতে পারলে তার ব্যবস্থা নেব। গতকাল খবরের কাগজে দেখলাম রসভরা খাল থেকে গঙ্গা দূষণ হচ্ছে। তাই পুরসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে দেখতে এলাম। প্রচুর পাঁক জমে আছে খালে। যা মেশিন ছাড়া তোলা সম্ভব হবে না। পুর প্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে মেশিন নিয়ে এসে খাল পরিষ্কার করা হবে।’’
প্রসঙ্গত, এই খালের পাশে গঙ্গার পাড়ে খোলা মাঠে শীতকালে অনেকেই পিকনিক করেন। এমনকি কলকাতা থেকেও এখানে পিকনিক করতে আসেন অনেকে। তাঁরা থার্মোকলের থালা বাটি আবর্জনা ফেলে এলাকা নোংরা করে। এ দিন সে সবও পরিষ্কার করা হয়। যারা পিকনিকের পর এও এলাকা অপরিচ্ছন্ন করছে, তাদের সচেতন করতে আর কয়েকদিনের মধ্যেই প্রচার শুরু হবে বলে জানান অসিতবাবু।