গত বছরের শেষ থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছিল সেই পোস্টার- ‘আমরা দাদার অনুগামী’। বাংলা জুড়ে সেই ‘দাদা’ শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার রাজনীতিতে যাঁরা তাঁর লড়াইয়ের শরিক ছিলেন, এবার মুর্শিদাবাদে তাঁদেরই কয়েকজন সেই ‘দাদা’-র জেরে প্রবল উদ্বেগে। এর কারণ দাদাকে তাঁরা নিজের মতো করে ফোনে পাচ্ছেন না! যার ফলে চড়ছে জল্পনা।
মুর্শিদাবাদের বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে শক্তির সঞ্চার করতে শুভেন্দু একাধিক স্টান্স নিয়েছিলেন দলীয় জেলা পর্যবেক্ষক থাকাকালীন। কার্যত মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসকে ভেঙে চুড়ে তিনি সেখানে তৃণমূলকে তিলে তিলে গড়ছিলেন। ফলে জেলার বহু নেতাই তাঁদের কাছে নেতৃত্ব বলতে শুভেন্দুকে চেনেন। আর তাঁর হাত ধরেই দলবদলের জোয়ারে নিজেদের দাদার অনুগামী বলে পরিচিতি দিয়েছেন। তবে ইদানিং একটা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদে।
এক নামী সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীকে গত ২ সপ্তাহ ধরে ফোন করেও পাচ্ছেন না তাঁর বহু অনুগামী। মেসেজ করলেও আসছে না মেসেজের উত্তর। আবার কেউ যদি ফোনে পেয়েও যান, তাহলে আগের চেনা শুভেন্দুকে তাঁরা পাচ্ছেন না। শুভেন্দুর সুর অচেনা লাগছে তাঁদের! আবার এক প্রভাবশালী শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিতকে খোদ শুভেন্দুই ফোনে জানিয়েছেন, তিনি জেলার রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছেন না। ফলে মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অনুগামীরা কার্যত এখন চরম বিপাকে পড়ে গিয়েছেন।
শুভেন্দু বিদ্রোহী হতেই বহু অনুগামী তাঁর পথে পা রেখেছিলেন। মুর্শিদাবাদেও তাঁর এরকম বহু ভক্ত ছিলেন। শুভেন্দুর দলবদলের আগে সেই রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে অনুগামীদের ডাকে সাড়া দিয়ে শিশিরপুত্র ২ বার মুর্শিদাবাদ যাত্রা করেন। কথা হয় একসঙ্গেই দল ছাড়ার। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে তা হয়নি। তাই অনেকেই তৃণমূলেই থেকে গিয়েছেন। পড়েছেন সমস্যায়। না দল ছাড়তে পারছেন, আর না যোগ দিতে পারছেন বিজেপিতে। এদিকে, শুভেন্দু ফোন না ধরায় তাঁরা অনেকেই মুষড়ে পড়েছেন বলে খবর মিলেছে।